নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় জেলা পরিষদ স্কুল অ্যন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আল-আমিনকে বিদ্যালয়ের ভিতরেই নৃশংস ভাবে ছুরিকাঘাতে জড়িত ও সহযোগিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলা । সবার দাবি জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের।এ ঘটনায় রোববার(৩০ নভেম্বর)বিকেলে সদরের বিজয় চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বেড় হয়ে প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্মৃতি অম্লান মোড়ে উপজেলার সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ব্যানারে মানববন্ধন-অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।এ সময় ডিমলা-রংপুর প্রধান সড়কে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত-শত শিক্ষার্থী,শিক্ষক,অভিভাবক,এলাকাবাসি অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এতে শিক্ষার্থী,শিক্ষক,অভিভাবকসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুজ্জামান,সহকারি পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)নিয়াজ মেহেদী উপস্থিত হয়ে রাব্বি ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলে ও জড়িত অন্যান্যদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বস্ত করলে তারা সড়ক ছেড়ে দেন।পরে সন্ধ্যায় আহত শিক্ষার্থী আল-আমিনের বাবার হাতে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।এ ঘটনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল নীলফামারী জেলা শাখা দলের সকল দলিয় পদ থেকে রাব্বিকে বহিস্কার করেন ও জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ছুরিকাঘাত করা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নাসিমকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেন।এর আগে গত বৃহস্পতিবার(২৭ নভেম্বর)ডিমলা জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ও সদর ইউনিয়নের রামডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আল-আমিন (১৬)কে ওই বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র,বাবুরহাট গ্রামের বাবু বিশ্বাসে ছেলে নাসিম ইসলাম(১৮) ছুরি দিয়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যপরি আঘাত করে গুরুতর আহত করেন।এ সময় জড়িতদের পালিয়ে যেতে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন,স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিস্কৃত নেতা রাব্বিসহ বেশ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।পরে আহত আল-আমিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ডিমলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

বর্তমানে সে সেখানেই গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ঘটনার পরেরদিন আহত আল-আমিনের পিতা নুর ইসলাম বাদি হয়ে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এদিকে দিন দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন নৃশংস ঘটনায় শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারি পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)নিয়াজ মেহেদী বলেন,এ ঘটনায় আমরা রাব্বি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি।প্রধান আসাসিকে গ্রেপ্তারে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।আশা করি শীঘ্রই তাকেও গ্রেপ্তার করতে পারব।

ডেস্ক রিপোর্ট 




















