ঢাকা ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপন কুয়েতে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

কুয়েতে বাংলাদেশের দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদযাপন সূচনা হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদ, নির্যাতিত মা-বোন এবং অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধ কেবল ভূখণ্ড অর্জনের সংগ্রাম ছিল না; এটি ছিল ভাষা, সংস্কৃতি, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার জন্য সংগ্রাম। রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদেরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, দেশের কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, ছাত্র, সেনা এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এই ঐক্য ও আত্মত্যাগই বাংলাদেশের জাতিসত্তার মূল শক্তি। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধা, প্রযুক্তির অগ্রগতি, প্রবাসীদের শ্রম এবং বৈশ্বিক সংযোগ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।

রাষ্ট্রদূত সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং কুয়েতে থাকা বাংলাদেশিদের কুয়েতের আইন-কানুন মেনে চলতে এবং বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করেন।

বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপন কুয়েতে

প্রকাশিত : ১০:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কুয়েতে বাংলাদেশের দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদযাপন সূচনা হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদ, নির্যাতিত মা-বোন এবং অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধ কেবল ভূখণ্ড অর্জনের সংগ্রাম ছিল না; এটি ছিল ভাষা, সংস্কৃতি, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার জন্য সংগ্রাম। রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদেরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, দেশের কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, ছাত্র, সেনা এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এই ঐক্য ও আত্মত্যাগই বাংলাদেশের জাতিসত্তার মূল শক্তি। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধা, প্রযুক্তির অগ্রগতি, প্রবাসীদের শ্রম এবং বৈশ্বিক সংযোগ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।

রাষ্ট্রদূত সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং কুয়েতে থাকা বাংলাদেশিদের কুয়েতের আইন-কানুন মেনে চলতে এবং বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করেন।