ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

দুমকিতে গভীর নলকুপের পানির স্তর কমে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে এলাকাবাসী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

দুমকি প্রতিনিধিঃ   পটুয়াখালীর দুমকিতে ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে হস্তচালিত গভীর নলকুপের পানির স্তর কমে যাওয়ায় ভোগান্তীতে দুমকি উপজেলার জনসাধারণ। দীর্ঘ ২বছর ধরে শুস্ক মৌসুমে গভীর নলকুপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগীসহ কয়েকটি গ্রাম, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালীসহ উত্তর এলাকা, আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আংগারিয়াসহ পশ্চিম এলাকা, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শস্থ দুমকি, শ্রীরামপুর, উত্তর দুমকি এলাকায় দীর্ঘ ২ বছর ধরে শুকনা মৌসুমে হস্তচালিত গভীর নলকুপে পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ জানালে অফিস কর্তৃপক্ষের লোকজন গিয়ে দেখে পানির স্তর নিচে চলে যাওয়ার কারণে গভীর নলকুপ থেকে পানি উঠছে না।
ভুক্তভোগী মোঃ শাহজাহান খান বলেন, শুস্ক মৌসুমে এলাকার খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পানি থাকছে না। অন্যদিকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শস্থ পীরতলা জামলা ও আংগারিয়া খালটিতে ময়লা আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানি চলাচল ব্যাহত ও খালের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় জনসাধারণ অন্যান্য কাজেও পানি ব্যবহার করতে পারছে না। শুস্ক মৌসুমে টিউবয়েলের পানির অভাবে অনেকে ব্যবহার অনুপযোগী পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দুমকি টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জামাল হোসেন জানান শুকনা মৌসুম আসলেই কলেজ শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী পানির সমস্যা সমাধানের জন্য পার্শবর্তী এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ ব্যবহার করতে হচ্ছে।


আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আঙ্গারিয়া নিবাসী আবু রায়হান বলেন গভীর নলকুপ বসিয়েও শুস্ক মৌসুম শুরু হলেই পানি পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে খুজে পাওয়া যায় এ সব এলাকায় বিগত দিনে ৮শত /১হাজার ফুট গভীরে টিউবয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু ২বছর পূর্বে বরিশাল ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রডাক্টশন টিউবয়েল স্থাপনের কারণে পানির গভীরতার স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শুকনা মৌসুমে ভুক্তভোগী এলাকায় পানি সঠিকভাবে পাচ্ছে না। দুমকি উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫৩০টি টিউবয়েল এবং বেসরকারিভাবে এক হাজার টিউবয়েল বসানো হয়েছে বলে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে। এ ছাড়াও এলাকাবাসী ব্যক্তিগত খরচে নিজ নিজ বাসায় টিউবয়েল স্থাপনসহ মটার ব্যবহার করেও পানি উত্তোলন করতে পারছে না।
বেসরকারি এনজিও সংস্থার উপজেলার সভাপতি ও পল্লিসেবা সংঘ এর পরিচালক হোসাইন আহম্মদ কবির হাওলাদার বলেন, জনগনের সুবিধার্থে সমাজসেবামূলক কাজের লক্ষে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নিপা আক্তার জানান, ইতিমধ্যে হস্তচালিত নলকুপের পরিবর্তে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য এলাকাবাসীর স্বার্থে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে।

দুমকিতে গভীর নলকুপের পানির স্তর কমে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রকাশিত : ০৭:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

দুমকি প্রতিনিধিঃ   পটুয়াখালীর দুমকিতে ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে হস্তচালিত গভীর নলকুপের পানির স্তর কমে যাওয়ায় ভোগান্তীতে দুমকি উপজেলার জনসাধারণ। দীর্ঘ ২বছর ধরে শুস্ক মৌসুমে গভীর নলকুপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগীসহ কয়েকটি গ্রাম, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালীসহ উত্তর এলাকা, আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আংগারিয়াসহ পশ্চিম এলাকা, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শস্থ দুমকি, শ্রীরামপুর, উত্তর দুমকি এলাকায় দীর্ঘ ২ বছর ধরে শুকনা মৌসুমে হস্তচালিত গভীর নলকুপে পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ জানালে অফিস কর্তৃপক্ষের লোকজন গিয়ে দেখে পানির স্তর নিচে চলে যাওয়ার কারণে গভীর নলকুপ থেকে পানি উঠছে না।
ভুক্তভোগী মোঃ শাহজাহান খান বলেন, শুস্ক মৌসুমে এলাকার খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পানি থাকছে না। অন্যদিকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শস্থ পীরতলা জামলা ও আংগারিয়া খালটিতে ময়লা আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানি চলাচল ব্যাহত ও খালের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় জনসাধারণ অন্যান্য কাজেও পানি ব্যবহার করতে পারছে না। শুস্ক মৌসুমে টিউবয়েলের পানির অভাবে অনেকে ব্যবহার অনুপযোগী পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দুমকি টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জামাল হোসেন জানান শুকনা মৌসুম আসলেই কলেজ শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী পানির সমস্যা সমাধানের জন্য পার্শবর্তী এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ ব্যবহার করতে হচ্ছে।


আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আঙ্গারিয়া নিবাসী আবু রায়হান বলেন গভীর নলকুপ বসিয়েও শুস্ক মৌসুম শুরু হলেই পানি পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে খুজে পাওয়া যায় এ সব এলাকায় বিগত দিনে ৮শত /১হাজার ফুট গভীরে টিউবয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু ২বছর পূর্বে বরিশাল ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রডাক্টশন টিউবয়েল স্থাপনের কারণে পানির গভীরতার স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শুকনা মৌসুমে ভুক্তভোগী এলাকায় পানি সঠিকভাবে পাচ্ছে না। দুমকি উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫৩০টি টিউবয়েল এবং বেসরকারিভাবে এক হাজার টিউবয়েল বসানো হয়েছে বলে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে। এ ছাড়াও এলাকাবাসী ব্যক্তিগত খরচে নিজ নিজ বাসায় টিউবয়েল স্থাপনসহ মটার ব্যবহার করেও পানি উত্তোলন করতে পারছে না।
বেসরকারি এনজিও সংস্থার উপজেলার সভাপতি ও পল্লিসেবা সংঘ এর পরিচালক হোসাইন আহম্মদ কবির হাওলাদার বলেন, জনগনের সুবিধার্থে সমাজসেবামূলক কাজের লক্ষে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নিপা আক্তার জানান, ইতিমধ্যে হস্তচালিত নলকুপের পরিবর্তে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য এলাকাবাসীর স্বার্থে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে।