ন্যাশনাল ব্যাংকের ৬৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ঋণ জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী সিকদার পরিবার ও মাইশা গ্রুপের পরিচালকসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কমিশন এই মামলার অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। দুদক উপপরিচালক আফরোজা হক খান বাদী হয়ে শিগ্গিরই এই মামলা দায়ের করবেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে জাল নথিপত্র তৈরি করে ঋণ গ্রহণ ও পরবর্তীতে তা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক জানায়, ন্যাশনাল ব্যাংকের দিলকুশা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ‘মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজি লি.’ নামের অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ ছাড় করা হয়। অনুমোদিত মামলার আসামিদের তালিকায় রয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও সিকদার গ্রুপের প্রয়াত কর্ণধার জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার, মেয়ে পারভীন হক সিকদার, ছেলে রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার।
এছাড়া, জালিয়াতির অন্যতম সুবিধাভোগী হিসেবে মাইশা গ্রুপের পরিচালক ও প্রয়াত এমপি আসলামুল হকের স্ত্রী মাকসুদা হকের নামও এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চৌধুরী মোসতাক আহমেদ, এম এ ওয়াদুদ এবং সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) এ এস এম বুলবুলসহ বিভিন্ন স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজির পরিচালক মো. মনসুর আলী ও সিইও সৈয়দ মাহতাব উদ্দিন মাহমুদকেও আসামি করা হয়েছে।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির তৎকালীন পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানহা প্রিকাস্ট টেকনোলজিকে ঋণ দেয়। এই প্রতিষ্ঠানটিকে মূলত ‘স্মার্ট ব্যাটারি টেকনোলজি লি.’ নামক অন্য একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের শ্যাডো কোম্পানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনুমোদিত ঋণের টাকা প্রকৃত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে অন্য প্রতিষ্ঠানের দায় মেটাতে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে ৬৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















