ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

মাংসের বাজার ছিল স্থিতিশীল মূল্যস্ফীতি বাড়লেও

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

মাত্র কয়েক দিন পর বিদায় নিতে যাওয়া ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও দেশের মাংসের বাজার ছিল বেশ স্থিতিশীল। বছরজুড়ে সব ধরনের মাংসের দাম ছিল প্রায় অপরিবর্তিত; বরং ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর ফলে মাংসের বাজারে গিয়ে ক্রেতারা অনেকটা স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পেরেছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এতে অতি দরিদ্রের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রয়ক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে।

চলতি বছরের অধিকাংশ সময় কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ছিল চড়া, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে একমাত্র স্বস্তির বিষয় হলো— বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর মাংসের দাম তেমন বাড়েনি।

সর্বশেষ গত নভেম্বর মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ হয়েছে। অক্টোবর মাসে তা ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি বাড়ার অর্থ হলো মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে চার বছরে দেশের বাজারে সব ধরনের মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে গরু ও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে, মুরগির দাম বেড়েছে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ। এ ছাড়া মহিষ, হাঁস (দেশি), কবুতরসহ সব ধরনের মাংসের দামই এই সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিসিবির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১ সালের ২০ জুন প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা, যা গত ২০ ডিসেম্বর ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই সময়ে খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ৮০০-৯০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০০-১২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এ ছাড়া, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১৩৫-১৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা এবং দেশি মুরগির দাম ৪৫০-৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫০-৬৫০ টাকা হয়েছে।

তবে বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া এই চার ধরনের মাংসের মধ্যে চলতি বছরে গরু ও খাসির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি কেজি ১৮০-১৯০ টাকা থেকে ১২ শতাংশ কমেছে। আর দেশি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৬৫০-৭৫০ টাকা থেকে ১৫ শতাংশের বেশি কমেছে।

মাংসের বাজার ছিল স্থিতিশীল মূল্যস্ফীতি বাড়লেও

প্রকাশিত : ১২:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

মাত্র কয়েক দিন পর বিদায় নিতে যাওয়া ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও দেশের মাংসের বাজার ছিল বেশ স্থিতিশীল। বছরজুড়ে সব ধরনের মাংসের দাম ছিল প্রায় অপরিবর্তিত; বরং ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর ফলে মাংসের বাজারে গিয়ে ক্রেতারা অনেকটা স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পেরেছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এতে অতি দরিদ্রের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রয়ক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে।

চলতি বছরের অধিকাংশ সময় কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ছিল চড়া, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে একমাত্র স্বস্তির বিষয় হলো— বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর মাংসের দাম তেমন বাড়েনি।

সর্বশেষ গত নভেম্বর মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ হয়েছে। অক্টোবর মাসে তা ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি বাড়ার অর্থ হলো মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে চার বছরে দেশের বাজারে সব ধরনের মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে গরু ও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে, মুরগির দাম বেড়েছে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ। এ ছাড়া মহিষ, হাঁস (দেশি), কবুতরসহ সব ধরনের মাংসের দামই এই সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিসিবির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১ সালের ২০ জুন প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ছিল ৫৬০ থেকে ৬০০ টাকা, যা গত ২০ ডিসেম্বর ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই সময়ে খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ৮০০-৯০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০০-১২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এ ছাড়া, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১৩৫-১৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা এবং দেশি মুরগির দাম ৪৫০-৫৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫০-৬৫০ টাকা হয়েছে।

তবে বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া এই চার ধরনের মাংসের মধ্যে চলতি বছরে গরু ও খাসির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দাম গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি কেজি ১৮০-১৯০ টাকা থেকে ১২ শতাংশ কমেছে। আর দেশি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৬৫০-৭৫০ টাকা থেকে ১৫ শতাংশের বেশি কমেছে।