চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। সূর্যের দেখা মিলছে বেলা বাড়ার অনেক পরে, ফলে মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।
তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। প্রধান সড়কগুলোতে লোকজন ও যানবাহনের চলাচল কমে গেছে। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ভোর ৬টায় ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি। এর আগে বুধবার তা নেমে এসেছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। শুক্রবার সকাল ৯টায় মৌসুমের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘উত্তরের হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আগামী কয়েকদিন এ অবস্থা থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।’
শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, ভ্যানচালক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজের অভাবে অনেক পরিবার চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীর চাপ বেড়েছে। শিশু ও বয়স্করা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশার কারণে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মানবিক সংগঠন তৎপর রয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, ‘জেলার চার উপজেলায় বরাদ্দ পাওয়া অর্থে ৮ হাজারসহ মোট প্রায় ১৪ হাজার ৭৫০টি কম্বল শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।

ডেস্ক রিপোর্ট 























