ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ভুল চিকিৎসায় কিশোরীর মৃত্যু চট্টগ্রামে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ১৫১ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রামে ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেছেন মৃত কিশোরীর বাবা পলাশ কুসুম নন্দী। মারা যাওয়া কিশোরী অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরে হুদা।

মামলায় অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক হলেন নগরের আসকার দীঘির পাড়ে অবস্থিত নিউ লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক সমৃদ্ধি চৌধুরী, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন চক্রবর্তী ও চিকিৎসক অনিরুদ্ধ ঘোষ।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার কিশোরী মেয়ে প্রজ্ঞা নন্দী দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেনে ভুগছিলেন এবং সে অনুযায়ী ওষুধ খেত। ২ জুন হঠাৎ বমি ও দুর্বলতা অনুভব করলে তারা তাকে নিউ লাইফ হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্যালাইন দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, মেয়ে সুস্থ আছে, ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।

বাদীর অভিযোগ, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেয়েকে স্যালাইন দেওয়া হয় এবং ক্যানুলার মাধ্যমে ইনজেকশন পুশ করা হয়। স্যালাইন দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন কোনো পরীক্ষা–নিরীক্ষা বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই কেন ইনজেকশন পুশ করা হলো জানতে চাইলে চিকিৎসকেরা বিরক্তি প্রকাশ করেন। কিশোরীর জ্ঞান না ফেরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার অনুরোধও উপেক্ষা করা হয়।

পরে বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রাত ১০টার দিকে রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অন্য একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, কিশোরী অনেক আগেই মারা গেছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় সালাহউদ্দিন

ভুল চিকিৎসায় কিশোরীর মৃত্যু চট্টগ্রামে

প্রকাশিত : ০৮:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

চট্টগ্রামে ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেছেন মৃত কিশোরীর বাবা পলাশ কুসুম নন্দী। মারা যাওয়া কিশোরী অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরে হুদা।

মামলায় অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক হলেন নগরের আসকার দীঘির পাড়ে অবস্থিত নিউ লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক সমৃদ্ধি চৌধুরী, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন চক্রবর্তী ও চিকিৎসক অনিরুদ্ধ ঘোষ।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার কিশোরী মেয়ে প্রজ্ঞা নন্দী দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেনে ভুগছিলেন এবং সে অনুযায়ী ওষুধ খেত। ২ জুন হঠাৎ বমি ও দুর্বলতা অনুভব করলে তারা তাকে নিউ লাইফ হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্যালাইন দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, মেয়ে সুস্থ আছে, ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।

বাদীর অভিযোগ, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেয়েকে স্যালাইন দেওয়া হয় এবং ক্যানুলার মাধ্যমে ইনজেকশন পুশ করা হয়। স্যালাইন দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন কোনো পরীক্ষা–নিরীক্ষা বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই কেন ইনজেকশন পুশ করা হলো জানতে চাইলে চিকিৎসকেরা বিরক্তি প্রকাশ করেন। কিশোরীর জ্ঞান না ফেরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার অনুরোধও উপেক্ষা করা হয়।

পরে বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রাত ১০টার দিকে রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অন্য একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, কিশোরী অনেক আগেই মারা গেছে।