ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালীতে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ, গ্রামবাসীর ক্ষোভ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ৫৬ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া গ্রামে কৃষিজমি দখল করে জোরপূর্বক ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিদ্ধুদ্ধ এলাকাবাসি দখলবাজদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববনাধন ও বিক্ষোভ করেছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ভূরিয়া গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও পরে সমাবেশে বৃদ্ধ কালু সিকদার (৯৫) জানায়, তিনি ও এলাকার মৃত কোব্বাত মৃধা ১৯৭৯ সালে যতীন্দ্র মোহন পালসহ ছয়জনের কাছ থেকে মোট ২.১৬ একর কৃষি জমি ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এসব জমি শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে ছিলেন।

কিন্তু সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতাসীন হলে ভুরিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন ও তার দু’ভাই আব্দুর রাজ্জাক খান ও ইসমাইল খান জোরপূর্বক ওই কৃষিজমি দখল করে নেন। পরবর্তীতে ওই জমিত ঘরবাড়িসহ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। এলাকাবাসী দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কালু সিকদারের ছেলে ইব্রাহিম সিকদার অভিযোগ করেন, তাদের পৈত্রিক জমি দখল করে ঘল নির্মাণ করতে গেলে গত ১৭ জুলাই পটুয়াখালী সদর থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। এনিয়ে সথর থানা পুলিশ দুইপক্ষকে তাদের জমির কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলার পর প্রতিপক্ষ জাকির হোসেন অচলনামা স্বাক্ষর করে আসলেও সেই বৈঠকে তিনি উপস্থিত হননি।

তিনি আরও জানান, জোরকরে তাদের দখল করার চেষ।টা করা হয়েছে। ওই জমির কোন দলিলপত্র না থাকায় মিমাংসা বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে উল্টো প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে তাদের।

ওই এলাকার সাইদুল ইসলাম নামে অপর এক গ্রামবাসি অভিযোগ করে বলেন, তিনি গ্রামে এক একর জমির মালিক। অন্যদিকে হারুন সরদার নামীয় আরেক ভুক্তভোগী জানান, তিনি ২৫ শতাংশ জমির মালিক হলেও তার জমিও দখলের উদ্দেশ্যে জাকির হোসেন ও তার ভাইরা ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে উদ্যত হন।

আরেক ভুক্তভোগী তারেক মোল্লা জোর করে ঘর নির্মাণ শুরু করলে, ভুক্তভোগীরা পুলিশে খবর দেন। পরে সদর থানার এসআই শামীম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ঢালি জানান, জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র গ্রামের অনেকের জমি দখল করে রেখেছে। দখলের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেন জানায়, অভিযোগ টি সত্য নয়। আমি আমার ক্রয়কৃত জমিতে ঘর উঠিয়েছি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) শামীম হাওলাদার জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইন শৃঙ্খলার যেন অবনতি না ঘটে সেজন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বিরোধটি মীমাংসা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু নির্ধারিত তারিখে জাকির হোসেন বা তার পক্ষে কেউ উপস্থিত হয়নি বিধায় মিমাংসা করা যায়নি।

পটুয়াখালীতে জমি দখল করে ঘর নির্মাণ, গ্রামবাসীর ক্ষোভ

প্রকাশিত : ০৬:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া গ্রামে কৃষিজমি দখল করে জোরপূর্বক ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিদ্ধুদ্ধ এলাকাবাসি দখলবাজদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববনাধন ও বিক্ষোভ করেছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ভূরিয়া গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও পরে সমাবেশে বৃদ্ধ কালু সিকদার (৯৫) জানায়, তিনি ও এলাকার মৃত কোব্বাত মৃধা ১৯৭৯ সালে যতীন্দ্র মোহন পালসহ ছয়জনের কাছ থেকে মোট ২.১৬ একর কৃষি জমি ক্রয় করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এসব জমি শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে ছিলেন।

কিন্তু সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতাসীন হলে ভুরিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন ও তার দু’ভাই আব্দুর রাজ্জাক খান ও ইসমাইল খান জোরপূর্বক ওই কৃষিজমি দখল করে নেন। পরবর্তীতে ওই জমিত ঘরবাড়িসহ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। এলাকাবাসী দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কালু সিকদারের ছেলে ইব্রাহিম সিকদার অভিযোগ করেন, তাদের পৈত্রিক জমি দখল করে ঘল নির্মাণ করতে গেলে গত ১৭ জুলাই পটুয়াখালী সদর থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। এনিয়ে সথর থানা পুলিশ দুইপক্ষকে তাদের জমির কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলার পর প্রতিপক্ষ জাকির হোসেন অচলনামা স্বাক্ষর করে আসলেও সেই বৈঠকে তিনি উপস্থিত হননি।

তিনি আরও জানান, জোরকরে তাদের দখল করার চেষ।টা করা হয়েছে। ওই জমির কোন দলিলপত্র না থাকায় মিমাংসা বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে উল্টো প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে তাদের।

ওই এলাকার সাইদুল ইসলাম নামে অপর এক গ্রামবাসি অভিযোগ করে বলেন, তিনি গ্রামে এক একর জমির মালিক। অন্যদিকে হারুন সরদার নামীয় আরেক ভুক্তভোগী জানান, তিনি ২৫ শতাংশ জমির মালিক হলেও তার জমিও দখলের উদ্দেশ্যে জাকির হোসেন ও তার ভাইরা ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে উদ্যত হন।

আরেক ভুক্তভোগী তারেক মোল্লা জোর করে ঘর নির্মাণ শুরু করলে, ভুক্তভোগীরা পুলিশে খবর দেন। পরে সদর থানার এসআই শামীম ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ঢালি জানান, জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র গ্রামের অনেকের জমি দখল করে রেখেছে। দখলের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেন জানায়, অভিযোগ টি সত্য নয়। আমি আমার ক্রয়কৃত জমিতে ঘর উঠিয়েছি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) শামীম হাওলাদার জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইন শৃঙ্খলার যেন অবনতি না ঘটে সেজন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বিরোধটি মীমাংসা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু নির্ধারিত তারিখে জাকির হোসেন বা তার পক্ষে কেউ উপস্থিত হয়নি বিধায় মিমাংসা করা যায়নি।