ঢাকা ১২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

তিস্তার পানি বিপৎসীমায় পাহাড়ি ঢলে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:২৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ২১ বার দেখা হয়েছে

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি পৌঁছেছে বিপৎসীমায়।

তিস্তা পাড়ের নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের মধ্যে এই পানি বৃদ্ধিকে ঘিরে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদীর পাশের নিম্নাঞ্চলে কোথাও কোথাও পানি ঢুকে পড়ছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি সমতল ছিল ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার সমান। পানি বাড়তে থাকায় ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম  বলেন, বিকেল ৩টার দিকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। তবে এরপর আর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাব চৌধুরী বলেন, তিস্তার পানি এখন বিপৎসীমায় রয়েছে, তবে বন্যার আশঙ্কা নেই।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) এক বিশেষ বার্তায় জানিয়েছে, তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তার পানি বিপৎসীমায় পাহাড়ি ঢলে

প্রকাশিত : ০৮:২৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি পৌঁছেছে বিপৎসীমায়।

তিস্তা পাড়ের নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের মধ্যে এই পানি বৃদ্ধিকে ঘিরে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদীর পাশের নিম্নাঞ্চলে কোথাও কোথাও পানি ঢুকে পড়ছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি সমতল ছিল ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার সমান। পানি বাড়তে থাকায় ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম  বলেন, বিকেল ৩টার দিকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে। তবে এরপর আর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাব চৌধুরী বলেন, তিস্তার পানি এখন বিপৎসীমায় রয়েছে, তবে বন্যার আশঙ্কা নেই।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) এক বিশেষ বার্তায় জানিয়েছে, তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।