ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

বৈঠকের জন্য জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থাকে শর্ত দিয়েছে ইরান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৬:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত আছে ইরান। তবে নিজেদের পরমাণু স্থাপনাগুলো আইএইএকে দেখাতে একেবারেই রাজি নয় দেশটি।

রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের  দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে আরাগচি বলেছেন, ইতোমধ্যে আইএইএকে এই শর্ত অবহিত করেছে তেহরান এবং চলতি সপ্তাহেই আইএইএ থেকে একজন কর্মকর্তার ইরান সফরের সূচি আছে। তিনি এলে এই শর্তের ভিত্তিতেই বৈঠক হবে তার সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত মে মাসে আইএইএ-এর একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফরে এসেছিল। সফর শেষ করার পর এক প্রতিবেদনে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেছিলেন, ইরানের কাছে কমপক্ষে ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম আছে এবং এই ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ। এই বিশুদ্ধতার মান যদি ৯০ শতাংশে উন্নীত করা যায়, তাহলে সহজেই এই ইউরেনিয়াম দিয়ে বেশ কিছু পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ৩১ মে। তারপর ১২ জুন, অর্থাৎ আইএইএ-এর প্রতিবেদন প্রকাশের ১২ দিন পর রাজধানী তেহরান, ফার্দো এবং ইসফাহান শহরে দেশটির সেনাবাহিনী ও পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামলা শুরুর এক ঘণ্টা পর এক ভিডিওবার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে ইরান পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের ‘দোরগোড়ায়’, তাই এ হামলা চালানো হয়েছে।

মূলত এই হামলার জেরে আইএইএর প্রতি আস্থার সংকটে ভুগছে ইরান। তেহরানের বিশ্বাস, গত জুন মাসে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরানে যে হামলা চালিয়েছিল— তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে আইএইএ।

রোববারের সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আরাগচি সাংবাদিকদের বলেন, “আইএইএ’র উপপ্রধান শিগগিরই ইরান সফরে আসছেন। আমরা তার সঙ্গে বৈঠক করব, কিন্তু আমাদের পরমাণু স্থাপনা আমরা তখনই প্রদর্শন করব— যখন আইএইএ-এর সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হবে; তার আগে নয়।”

“আমরা আমাদের অবস্থান সম্পর্কে আইএইএকে ইতোমধ্যে জানিয়েছি।”

বৈঠকের জন্য জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থাকে শর্ত দিয়েছে ইরান

প্রকাশিত : ০৬:০০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত আছে ইরান। তবে নিজেদের পরমাণু স্থাপনাগুলো আইএইএকে দেখাতে একেবারেই রাজি নয় দেশটি।

রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের  দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে আরাগচি বলেছেন, ইতোমধ্যে আইএইএকে এই শর্ত অবহিত করেছে তেহরান এবং চলতি সপ্তাহেই আইএইএ থেকে একজন কর্মকর্তার ইরান সফরের সূচি আছে। তিনি এলে এই শর্তের ভিত্তিতেই বৈঠক হবে তার সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত মে মাসে আইএইএ-এর একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফরে এসেছিল। সফর শেষ করার পর এক প্রতিবেদনে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেছিলেন, ইরানের কাছে কমপক্ষে ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম আছে এবং এই ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ। এই বিশুদ্ধতার মান যদি ৯০ শতাংশে উন্নীত করা যায়, তাহলে সহজেই এই ইউরেনিয়াম দিয়ে বেশ কিছু পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ৩১ মে। তারপর ১২ জুন, অর্থাৎ আইএইএ-এর প্রতিবেদন প্রকাশের ১২ দিন পর রাজধানী তেহরান, ফার্দো এবং ইসফাহান শহরে দেশটির সেনাবাহিনী ও পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামলা শুরুর এক ঘণ্টা পর এক ভিডিওবার্তায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে ইরান পরমাণু অস্ত্র নির্মাণের ‘দোরগোড়ায়’, তাই এ হামলা চালানো হয়েছে।

মূলত এই হামলার জেরে আইএইএর প্রতি আস্থার সংকটে ভুগছে ইরান। তেহরানের বিশ্বাস, গত জুন মাসে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরানে যে হামলা চালিয়েছিল— তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে আইএইএ।

রোববারের সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আরাগচি সাংবাদিকদের বলেন, “আইএইএ’র উপপ্রধান শিগগিরই ইরান সফরে আসছেন। আমরা তার সঙ্গে বৈঠক করব, কিন্তু আমাদের পরমাণু স্থাপনা আমরা তখনই প্রদর্শন করব— যখন আইএইএ-এর সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হবে; তার আগে নয়।”

“আমরা আমাদের অবস্থান সম্পর্কে আইএইএকে ইতোমধ্যে জানিয়েছি।”