ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ত্রাণ সহায়তা বাড়ানো ও যুদ্ধ পরবর্তী গাজা নিয়ে বুধবার (২৭ আগস্ট) বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজে বৈঠকেটি হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ।
গত সোমবার দখলদার ইসরায়েল গাজার নাসের হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ২০ জনকে হত্যা করে। যারমধ্যে পাঁচ সাংবাদিকও ছিলেন। ভয়াবহ বর্বর এ হামলার পর বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টিভ উইটকোফ বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার কাছাকাছি আছেন তারা। আর যুদ্ধ থামলে ইসরায়েলি জিম্মিদেরও ফিরিয়ে আনতে তারা সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি আমরা এ যুদ্ধের মিমাংসা যে কোনোভাবে করতে পারব। নিশ্চিতভাবে এ বছর শেষ হওয়ার আগে।”

গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস জানায় তারা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এখন ইসরায়েলের জবাবের অপেক্ষায় আছে তারা। তবে ইসরায়েল এখনো যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কিছু বলেনি।
যে যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি হয়েছে সেটির কাঠামো ঠিক করে দিয়েছিলেন স্টিভ উইটকোফ। এখন হামাস এটিতে সম্মত হলেও ইসরায়েল চুপ করে আছে। তা সত্ত্বেও হামাসের ওপর সব দায় চাপিয়েছেন ট্রাম্পের এ বিশেষ দূত।
তিনি বলেছেন, “এটা হলো হামাস, যারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ধীরগতি করেছে। এখন হামাসই বলছে আমরা এ যুদ্ধবিরতিতে রাজি।” দখলদার ইসরায়েলের সামরিক চাপের কারণে হামাস এখন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
নাসের হাসপাতালে ২০ জন মানুষ নিহত হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান উইটকোফ। শুধু বলেন, সব বেসামরিক মৃত্যুই দুঃখজনক।

ডেস্ক রিপোর্ট 























