ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১১

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৫ বার দেখা হয়েছে

ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমানের অনুসারীদের বিরুদ্ধে শহরের মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা অন্তত ১৭টি মাহেন্দ্রর কাচ ভাঙচুর করে। হামলায় ১১ জন মাহেন্দ্র শ্রমিক আহত হন। এর মধ্যে চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন হলেন— রাইফুল আলম, মামুন মন্ডল, সলেমান শেখ ও মোতালেব মল্লিক।

এলাকাবাসী ও মাহেন্দ্র চালক সূত্রে জানা গেছে, শহরের হাজরাতলার মোড় এলাকায় সালথাগামী মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড এবং ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে কানাইপুরগামী মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড অবস্থিত। সালথার মাহেন্দ্র ভাঙ্গা রাস্তার মোড় স্ট্যান্ড অতিক্রম করার সময় সেখানে দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। তবে আজ যানজটের কারণে সালথার একটি মাহেন্দ্র ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে কানাইপুরগামী স্ট্যান্ড এলাকায় আটকে গেলে চালককে মারধর করে সেখানে আটক রাখা হয়। খবর পেয়ে যুবদলের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত শাহীন হাওলাদারসহ ২৫-৩০ জন বহিরাগত ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে গিয়ে সেখানে অবস্থানরত শ্রমিকদের নির্বিচারে পিটিয়ে আহত করে এবং গাড়িগুলো ভাঙচুর করে।

মাহেন্দ্র শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমানের ক্যাডার শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। কয়েক মাস ধরে তারা ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে অবস্থিত মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ সময় প্রতিটি মাহেন্দ্র থেকে নিয়মিত জোরপূর্বক ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করত। কয়েকদিন ধরে চালকেরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শাহীন ও তার লোকজন নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।

মাহেন্দ্র চালক বদরুল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান ও শাহীন হাওলাদার মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। জোরপূর্বক প্রতিটি মাহেন্দ্র থেকে ৫০-১০০ টাকা করে আদায় করত। শ্রমিকরা রাজি না হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।

মাহেন্দ্র চালক ইয়াছিন শেখ বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলা চালায়। নির্বিচারে মাহেন্দ্র ভাঙচুর করে। বাধা দিলে আমাদের ১১-১২ জনকে গুরুতর আহত করে।

এ বিষয়ে শাহীন হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, আমি শ্রমিক রাজনীতি করি না। মাহেন্দ্র শ্রমিকদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। আমাকে এ ঘটনায় জড়ানো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাজ। শাহীন আমার ক্যাডার নন। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, এজন্য একটি মহল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।

জেলা মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম বলেন, আমাদের ফ্যাসিবাদের দোসর বলে যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান ও তার অনুসারী শাহীন হাওলাদার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা করেছে। আজকের হামলা সেই পরিকল্পনারই অংশ।

জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।

ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১১

প্রকাশিত : ০৭:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরে মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমানের অনুসারীদের বিরুদ্ধে শহরের মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা অন্তত ১৭টি মাহেন্দ্রর কাচ ভাঙচুর করে। হামলায় ১১ জন মাহেন্দ্র শ্রমিক আহত হন। এর মধ্যে চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন হলেন— রাইফুল আলম, মামুন মন্ডল, সলেমান শেখ ও মোতালেব মল্লিক।

এলাকাবাসী ও মাহেন্দ্র চালক সূত্রে জানা গেছে, শহরের হাজরাতলার মোড় এলাকায় সালথাগামী মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড এবং ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে কানাইপুরগামী মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড অবস্থিত। সালথার মাহেন্দ্র ভাঙ্গা রাস্তার মোড় স্ট্যান্ড অতিক্রম করার সময় সেখানে দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। তবে আজ যানজটের কারণে সালথার একটি মাহেন্দ্র ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে কানাইপুরগামী স্ট্যান্ড এলাকায় আটকে গেলে চালককে মারধর করে সেখানে আটক রাখা হয়। খবর পেয়ে যুবদলের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত শাহীন হাওলাদারসহ ২৫-৩০ জন বহিরাগত ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে গিয়ে সেখানে অবস্থানরত শ্রমিকদের নির্বিচারে পিটিয়ে আহত করে এবং গাড়িগুলো ভাঙচুর করে।

মাহেন্দ্র শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমানের ক্যাডার শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। কয়েক মাস ধরে তারা ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে অবস্থিত মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ সময় প্রতিটি মাহেন্দ্র থেকে নিয়মিত জোরপূর্বক ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করত। কয়েকদিন ধরে চালকেরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শাহীন ও তার লোকজন নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।

মাহেন্দ্র চালক বদরুল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান ও শাহীন হাওলাদার মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। জোরপূর্বক প্রতিটি মাহেন্দ্র থেকে ৫০-১০০ টাকা করে আদায় করত। শ্রমিকরা রাজি না হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।

মাহেন্দ্র চালক ইয়াছিন শেখ বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলা চালায়। নির্বিচারে মাহেন্দ্র ভাঙচুর করে। বাধা দিলে আমাদের ১১-১২ জনকে গুরুতর আহত করে।

এ বিষয়ে শাহীন হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, আমি শ্রমিক রাজনীতি করি না। মাহেন্দ্র শ্রমিকদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। আমাকে এ ঘটনায় জড়ানো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাজ। শাহীন আমার ক্যাডার নন। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, এজন্য একটি মহল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।

জেলা মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম বলেন, আমাদের ফ্যাসিবাদের দোসর বলে যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান ও তার অনুসারী শাহীন হাওলাদার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা করেছে। আজকের হামলা সেই পরিকল্পনারই অংশ।

জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।