ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

কলাপাড়ায় ভাঙছে নদীর তীরভূমি, বিলীন হচ্ছে নদী রক্ষা বাঁধ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

আকাশে কালো মেঘ, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কিংবা অমাবশ্যা-পূর্ণিমার প্রভাবে নদীর পানি প্রবাহ তীব্রতা দেখা দিলেই আতকে ওঠে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতী ইউনিয়নের নদীরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এই বুঝি আন্দারমানিক নদীর তীব্র স্রোতে নদী ভাঙনে বিলীন হবে নদী রক্ষা বাঁধ। এদিকে নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে বিলীন হলে লোনা পানিতে প্লাবিত হবে বসতভিটা হারানোর শঙ্কায় এলাকার চার গ্রামের মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কলাপাড়া কার্যালয় জানায়, রাবনাবাদ নদীর পাড়ে ৪৬ নং পোল্ডারে ৩৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ রয়েছে পাউবোর। নদীর পশ্চিম তীর চর বালিয়াতলীর ভাঙনপ্রবণ এলাকা। ভাঙন রক্ষায় গত বছর বালূ ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ২০০ মিটার নদী রক্ষা বাঁধ দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হয় ৭ কোটি টাকা। কিন্তু জোয়ারের স্রোতে সেই নদীরক্ষা বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। নদীতে ধসে পড়ে বিলীন হয়ে যায় বালূ ভর্তি জিওব্যাগ। ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আন্দারমানিক নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই পুরো গ্রাম প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। প্রবল বৃষ্টি আর ঘন ঘন নিম্নচাপের কারনে নদীর ঢেউয়ের তোড়ে এ বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নদী রক্ষা বাঁধ বিলীন হচ্ছে। এর আগে সাময়িক মেরামত করলেও তাতে কোন সমাধান হয়নি। বাঁধটি পুরোপুরি বিলীন হলে পানিতে তলিয়ে বসবাস অনুপযোগী হওয়ার শঙ্কায় এলাকাবাসি। একই সাথে অনাবাদি হতে পারে শতশত হেক্টর কৃষি জমি।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ অঅলম মোল্লা জানায়, নদী রক্ষা বাঁধ পুরোটা ভেঙে গেলে বাঁধের ভেঙে ঙাওয়া স্থা দিয়ে ছোট বাীরয়াতলী, আয়ৃমপাড়া, বলিপাড়া ও কানকনিপাড়া এই চার গ্রামে পানিতে প্লাবিত হবে। শুধু ঘরবাড়িই নয়,তাদের কৃষিজমি ও গবাদিপশুও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জামাল হোসেন জানান, জোয়ারের সময় প্রায় প্রতিটি রাতে তারা শংকায় থকেন, কখন জানি বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে যায়। । তাই দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করে জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আপর এক বাসিন্দা নুরুল কবির জানান, পূর্ণিমা আমাবস্যার জো অথবা কোন নিম্নচাপে পানি বৃদ্ধি পেলেই তাদের দূশ্চিন্তায় বেড়ে যায়। সবকিছু মিলে সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দারা। কারণ নদী ভাঙনে তাদের ঘরবাড়ি, আবাদি জমি এবং অন্যান্য স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ বাঁধটি স্থায়ীভাবে নির্মানের দাবি জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শাহ আলম জানান, নদীর পশ্চিম তীর ভাঙনপ্রবণ এবং স্পর্শকাতর স্থান। নদীর বাকের কারণে জোয়ার-ভাটার তীব্রতায় ভাঙন তীব্র হয়ে। এর আগে এখানে জিওব্যাগ দিয়ে ভাঙন রক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এখন নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অস্থায়ী ভাবে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। তবে এখানে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। আর এব্যাপারে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

কলাপাড়ায় ভাঙছে নদীর তীরভূমি, বিলীন হচ্ছে নদী রক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত : ১২:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

আকাশে কালো মেঘ, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কিংবা অমাবশ্যা-পূর্ণিমার প্রভাবে নদীর পানি প্রবাহ তীব্রতা দেখা দিলেই আতকে ওঠে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতী ইউনিয়নের নদীরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এই বুঝি আন্দারমানিক নদীর তীব্র স্রোতে নদী ভাঙনে বিলীন হবে নদী রক্ষা বাঁধ। এদিকে নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে বিলীন হলে লোনা পানিতে প্লাবিত হবে বসতভিটা হারানোর শঙ্কায় এলাকার চার গ্রামের মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কলাপাড়া কার্যালয় জানায়, রাবনাবাদ নদীর পাড়ে ৪৬ নং পোল্ডারে ৩৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ রয়েছে পাউবোর। নদীর পশ্চিম তীর চর বালিয়াতলীর ভাঙনপ্রবণ এলাকা। ভাঙন রক্ষায় গত বছর বালূ ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ২০০ মিটার নদী রক্ষা বাঁধ দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হয় ৭ কোটি টাকা। কিন্তু জোয়ারের স্রোতে সেই নদীরক্ষা বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। নদীতে ধসে পড়ে বিলীন হয়ে যায় বালূ ভর্তি জিওব্যাগ। ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আন্দারমানিক নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই পুরো গ্রাম প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। প্রবল বৃষ্টি আর ঘন ঘন নিম্নচাপের কারনে নদীর ঢেউয়ের তোড়ে এ বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নদী রক্ষা বাঁধ বিলীন হচ্ছে। এর আগে সাময়িক মেরামত করলেও তাতে কোন সমাধান হয়নি। বাঁধটি পুরোপুরি বিলীন হলে পানিতে তলিয়ে বসবাস অনুপযোগী হওয়ার শঙ্কায় এলাকাবাসি। একই সাথে অনাবাদি হতে পারে শতশত হেক্টর কৃষি জমি।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ অঅলম মোল্লা জানায়, নদী রক্ষা বাঁধ পুরোটা ভেঙে গেলে বাঁধের ভেঙে ঙাওয়া স্থা দিয়ে ছোট বাীরয়াতলী, আয়ৃমপাড়া, বলিপাড়া ও কানকনিপাড়া এই চার গ্রামে পানিতে প্লাবিত হবে। শুধু ঘরবাড়িই নয়,তাদের কৃষিজমি ও গবাদিপশুও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জামাল হোসেন জানান, জোয়ারের সময় প্রায় প্রতিটি রাতে তারা শংকায় থকেন, কখন জানি বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে যায়। । তাই দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করে জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আপর এক বাসিন্দা নুরুল কবির জানান, পূর্ণিমা আমাবস্যার জো অথবা কোন নিম্নচাপে পানি বৃদ্ধি পেলেই তাদের দূশ্চিন্তায় বেড়ে যায়। সবকিছু মিলে সর্বোচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাঁধ সংলগ্ন বাসিন্দারা। কারণ নদী ভাঙনে তাদের ঘরবাড়ি, আবাদি জমি এবং অন্যান্য স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ বাঁধটি স্থায়ীভাবে নির্মানের দাবি জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শাহ আলম জানান, নদীর পশ্চিম তীর ভাঙনপ্রবণ এবং স্পর্শকাতর স্থান। নদীর বাকের কারণে জোয়ার-ভাটার তীব্রতায় ভাঙন তীব্র হয়ে। এর আগে এখানে জিওব্যাগ দিয়ে ভাঙন রক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এখন নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অস্থায়ী ভাবে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। তবে এখানে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। আর এব্যাপারে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।