যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির প্রভাবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫.৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এতে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি হয়েছে ২৮৪ কোটি ডলার যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম। গত অর্থবছরে একই সময় অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৩০১ কোটি ডলার।
এছাড়া সেপ্টেম্বরে সার্বিক রপ্তানি আয়ও কমেছে। গত মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩৬২ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন দেশের উদ্যোক্তারা। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ কম। ২০২৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৮০ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির প্রভাবে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে জানিয়ে বিকেএমই-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রেসিপ্রোক্যাল শুল্কের একটি অংশ বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। রপ্তানিকারকদের পক্ষে এই বাড়তি চাপ বহন করা সম্ভব নয়। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ও শুল্ক সমন্বয়ের চাপ তারা আগেই সামলাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। চীন ও ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব বাজারে রপ্তানি বাড়াচ্ছে।
এই ধীরগতি আরও দুই থেকে তিন মাস থাকতে পারে জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে রপ্তানি পুনরুদ্ধার হবে। এ সময় তিনি রপ্তানিকারকদের ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান।