ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

পাল্টা ভিসা বন্ডের ঘোষণা মালির ,মার্কিন নাগরিকদের জন্য

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:২৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বন্ডের পাল্টায় মার্কিন নাগরিকদের মালির ভ্রমণ অথবা ব্যবসায়িক ভিসার জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ডের ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার এই দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ড চালুর ঘোষণা দেওয়ার পর ওই পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে মালি।

এর আগে, শুক্রবার মালিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পরীক্ষামূলক নতুন কর্মসূচির আওতায় আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে পর্যটক ও ব্যবসায়িক ভিসার জন্য মালির নাগরিকদের সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ড (জামানত) দিতে হবে।

মার্কিন সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই দুই ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর মালির নাগরিকরা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ ত্যাগ করেন, তাহলে তাদের বন্ডের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পাল্টায় রোববার মালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন সরকারের একতরফা এই সিদ্ধান্তে মালির সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে দুই দেশের পূর্ববর্তী দীর্ঘমেয়াদী মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চুক্তির পরিপন্থী বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘‘দ্বিপাক্ষিক নীতির আওতায় মালিও একই ধরনের ভিসা কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কিন নাগরিকদের জন্য ঠিক একই শর্ত ও প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে, যা মালির নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিবছর মালির নাগরিকদের তিন হাজারের কিছু কম মার্কিন নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা দেওয়া হয়েছে। তবে কতসংখ্যক মার্কিন নাগরিককে মালি ভিসা দিয়েছে, সেই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় আসার পর অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোই তার প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে ঘোষণা দেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ইতোমধ্যে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার ও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের গ্রেপ্তার কার্যক্রমের গতি ত্বরান্বিত করেছেন তিনি।

গত আগস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছিল, জাম্বিয়া ও মালাবির নাগরিকদেরও মার্কিন ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ড দিতে হবে। জাম্বিয়া সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, এই পদক্ষেপ নাগরিকদের জন্য ‘অপ্রয়োজনীয় আর্থিক চাপ’ সৃষ্টি করবে।

পাল্টা ভিসা বন্ডের ঘোষণা মালির ,মার্কিন নাগরিকদের জন্য

প্রকাশিত : ০৭:২৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বন্ডের পাল্টায় মার্কিন নাগরিকদের মালির ভ্রমণ অথবা ব্যবসায়িক ভিসার জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ডের ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার এই দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ড চালুর ঘোষণা দেওয়ার পর ওই পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে মালি।

এর আগে, শুক্রবার মালিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পরীক্ষামূলক নতুন কর্মসূচির আওতায় আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে পর্যটক ও ব্যবসায়িক ভিসার জন্য মালির নাগরিকদের সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ড (জামানত) দিতে হবে।

মার্কিন সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওই দুই ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর মালির নাগরিকরা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ ত্যাগ করেন, তাহলে তাদের বন্ডের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পাল্টায় রোববার মালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন সরকারের একতরফা এই সিদ্ধান্তে মালির সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে দুই দেশের পূর্ববর্তী দীর্ঘমেয়াদী মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চুক্তির পরিপন্থী বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘‘দ্বিপাক্ষিক নীতির আওতায় মালিও একই ধরনের ভিসা কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কিন নাগরিকদের জন্য ঠিক একই শর্ত ও প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে, যা মালির নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিবছর মালির নাগরিকদের তিন হাজারের কিছু কম মার্কিন নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা দেওয়া হয়েছে। তবে কতসংখ্যক মার্কিন নাগরিককে মালি ভিসা দিয়েছে, সেই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় আসার পর অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোই তার প্রশাসনের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে ঘোষণা দেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ইতোমধ্যে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার ও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের গ্রেপ্তার কার্যক্রমের গতি ত্বরান্বিত করেছেন তিনি।

গত আগস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছিল, জাম্বিয়া ও মালাবির নাগরিকদেরও মার্কিন ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ড দিতে হবে। জাম্বিয়া সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, এই পদক্ষেপ নাগরিকদের জন্য ‘অপ্রয়োজনীয় আর্থিক চাপ’ সৃষ্টি করবে।