ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধ পরবর্তী গাজা নিয়ে সৌদির পরিকল্পনা ফাঁস

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৭:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার যুদ্ধপরবর্তীকালীন পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই।

এতে দেখা গেছে সৌদি গাজার ভবিষ্যত নিয়ে কি কি পরিকল্পনা করছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হামাসকে গাজায় কোণঠাসা করে ফেলা এবং তাদের নিরস্ত্র করা। এছাড়া মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিন অথরিটিকে (পিএ) শক্তিশালী করার কাজও করবে তারা।

১. হামাসকে দুর্বল ও নিরস্ত্র করা

ভূমিকা সীমিতকরণ: গাজার প্রশাসনে হামাসের প্রভাব কমিয়ে আনা।

নিরস্ত্রীকরণ: আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চুক্তির মাধ্যমে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে “ধাপে ধাপে” হামাসকে নিরস্ত্র করার প্রক্রিয়ায় সমর্থন দেওয়া।

কোণঠাসা করা: সৌদি আরব মনে করে ফিলিস্তিনের শান্তি প্রক্রিয়ার বাধা হলো হামাস। এজন্য তাদের এক পাশে সরিয়ে দেওয়া বা কোণঠাসা করা হবে।

গাজার ক্ষমতা হস্তান্তর: গাজার শাসন ক্ষমতা ধাপে ধাপে ফিলিস্তিনি অথরিটিরি (পিএ) হাতে তুলে দেওয়া।

২. ফিলিস্তিনি অথরিটির (পিএ) সংস্কার ও সহায়তা

প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার: ফিলিস্তিনি অথরিটির কাঠামোগত পরিবর্তন করা।

যার প্রধান লক্ষ্য হলো- দুর্নীতি দূর করা, কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, ফিলিস্তিনের সকল গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

আর্থিক ও কারিগরি সমর্থন: ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য জরুরি পরিষেবা নিশ্চিত করতে পিএ-কে অর্থ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া।

জাতীয় ঐক্য: ফিলিস্তিনি জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সব পক্ষকে পিএ-এর অধীনে এনে জাতীয় সংহতি জোরদার করা। এই আলোচনার সহায়তায় আঞ্চলিক সভা ও সম্মেলন আয়োজন করা হবে।

৩. আন্তর্জাতিক ভূমিকা ও লক্ষ্য

শান্তিরক্ষা বাহিনী: গাজায় স্থিতিশীলতা আনতে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েনকে সমর্থন করা। সৌদি আরব এই বাহিনীতে সৈন্য দিয়ে অবদান রাখতে পারে।

পরামর্শ: পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মিসর, জর্ডান এবং ফিলিস্তিনি প্রশাসনের সাথে আলোচনা করা।

দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য: এই উদ্যোগগুলোকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের (দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ধারণা) সাথে যুক্ত করা। লক্ষ্য হলো ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা।

জনপ্রিয় সংবাদ

পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার: পটুয়াখালীতে পরীক্ষার্থীসহ তিনজনের কারাদণ্ড

যুদ্ধ পরবর্তী গাজা নিয়ে সৌদির পরিকল্পনা ফাঁস

প্রকাশিত : ০৭:০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার যুদ্ধপরবর্তীকালীন পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই।

এতে দেখা গেছে সৌদি গাজার ভবিষ্যত নিয়ে কি কি পরিকল্পনা করছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হামাসকে গাজায় কোণঠাসা করে ফেলা এবং তাদের নিরস্ত্র করা। এছাড়া মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিন অথরিটিকে (পিএ) শক্তিশালী করার কাজও করবে তারা।

১. হামাসকে দুর্বল ও নিরস্ত্র করা

ভূমিকা সীমিতকরণ: গাজার প্রশাসনে হামাসের প্রভাব কমিয়ে আনা।

নিরস্ত্রীকরণ: আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চুক্তির মাধ্যমে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে “ধাপে ধাপে” হামাসকে নিরস্ত্র করার প্রক্রিয়ায় সমর্থন দেওয়া।

কোণঠাসা করা: সৌদি আরব মনে করে ফিলিস্তিনের শান্তি প্রক্রিয়ার বাধা হলো হামাস। এজন্য তাদের এক পাশে সরিয়ে দেওয়া বা কোণঠাসা করা হবে।

গাজার ক্ষমতা হস্তান্তর: গাজার শাসন ক্ষমতা ধাপে ধাপে ফিলিস্তিনি অথরিটিরি (পিএ) হাতে তুলে দেওয়া।

২. ফিলিস্তিনি অথরিটির (পিএ) সংস্কার ও সহায়তা

প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার: ফিলিস্তিনি অথরিটির কাঠামোগত পরিবর্তন করা।

যার প্রধান লক্ষ্য হলো- দুর্নীতি দূর করা, কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, ফিলিস্তিনের সকল গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

আর্থিক ও কারিগরি সমর্থন: ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য জরুরি পরিষেবা নিশ্চিত করতে পিএ-কে অর্থ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া।

জাতীয় ঐক্য: ফিলিস্তিনি জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সব পক্ষকে পিএ-এর অধীনে এনে জাতীয় সংহতি জোরদার করা। এই আলোচনার সহায়তায় আঞ্চলিক সভা ও সম্মেলন আয়োজন করা হবে।

৩. আন্তর্জাতিক ভূমিকা ও লক্ষ্য

শান্তিরক্ষা বাহিনী: গাজায় স্থিতিশীলতা আনতে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েনকে সমর্থন করা। সৌদি আরব এই বাহিনীতে সৈন্য দিয়ে অবদান রাখতে পারে।

পরামর্শ: পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মিসর, জর্ডান এবং ফিলিস্তিনি প্রশাসনের সাথে আলোচনা করা।

দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য: এই উদ্যোগগুলোকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের (দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ধারণা) সাথে যুক্ত করা। লক্ষ্য হলো ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা।