ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণবিরোধী অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

বায়ুদূষণ, অবৈধ ইটভাটা, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার এবং পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে একযোগে কঠোর অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এ অভিযানে জরিমানা আদায়, একাধিক ইটভাটা বন্ধ, কাঁচা ইট ধ্বংস, অবৈধ পলিথিন জব্দ এবং শিল্পকারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডুর নেতৃত্বে রাজধানীর শান্তিনগর মোড়, রমনা, রামপুরা ও মেরুল বাড্ডা এলাকায় খোলা রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে বায়ুদূষণ সৃষ্টির দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ লঙ্ঘনের দায়ে তিনটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির মালিককে তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তা থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই দিন পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে অভিযান চালানো হয়। এক মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং প্রায় ১১ কেজি অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়। বিকেলে পিরোজপুর সদর এলাকায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে মেসার্স এ. আর.বি ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে এক্সকেভেটর দিয়ে কাঁচা ইট ধ্বংস করে ইটভাটার কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়।

রাঙামাটি জেলার লংগদু ও কাউখালী উপজেলায় হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে বড় পরিসরে অভিযান চালানো হয়। প্রায় ১০ লাখ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। পাঁচটি ভাটার চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কাঠ জব্দ করা হয় এবং একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় দুইটি ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে একটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর একটি ইটভাটার চিমনি ভেঙে ফেলা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করা হয়।

নরসিংদী জেলায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপিবিহীন তিনটি ডাইং কারখানা ও একটি ব্যাটারি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আইনি স্থগিতাদেশ থাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় অবৈধ একটি ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ফিক্সড চিমনি ভেঙে ফেলা হয়। ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয় এবং আনুমানিক পাঁচ লাখ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবৈধ ইটভাটা, দূষণকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণবিরোধী অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত : ০৯:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

বায়ুদূষণ, অবৈধ ইটভাটা, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার এবং পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে একযোগে কঠোর অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এ অভিযানে জরিমানা আদায়, একাধিক ইটভাটা বন্ধ, কাঁচা ইট ধ্বংস, অবৈধ পলিথিন জব্দ এবং শিল্পকারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডুর নেতৃত্বে রাজধানীর শান্তিনগর মোড়, রমনা, রামপুরা ও মেরুল বাড্ডা এলাকায় খোলা রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে বায়ুদূষণ সৃষ্টির দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ লঙ্ঘনের দায়ে তিনটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির মালিককে তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তা থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই দিন পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে অভিযান চালানো হয়। এক মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং প্রায় ১১ কেজি অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়। বিকেলে পিরোজপুর সদর এলাকায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে মেসার্স এ. আর.বি ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে এক্সকেভেটর দিয়ে কাঁচা ইট ধ্বংস করে ইটভাটার কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়।

রাঙামাটি জেলার লংগদু ও কাউখালী উপজেলায় হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে বড় পরিসরে অভিযান চালানো হয়। প্রায় ১০ লাখ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। পাঁচটি ভাটার চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কাঠ জব্দ করা হয় এবং একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় দুইটি ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে একটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর একটি ইটভাটার চিমনি ভেঙে ফেলা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করা হয়।

নরসিংদী জেলায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপিবিহীন তিনটি ডাইং কারখানা ও একটি ব্যাটারি কারখানার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আইনি স্থগিতাদেশ থাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় অবৈধ একটি ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ফিক্সড চিমনি ভেঙে ফেলা হয়। ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয় এবং আনুমানিক পাঁচ লাখ কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবৈধ ইটভাটা, দূষণকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।