ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আটক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:০৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি : মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হাইমচর থানাধীন হরিনাঘাটা নামকস্থানে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ ও লঞ্চের চারজন স্টাফকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন- ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ এবং লঞ্চের চারজন স্টাফকে আটক করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা সভায় যোগ দিয়ে ঝালকাঠির নেতাকর্মীরা অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামক লঞ্চে করে ঝালকাঠিতে ফিরছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ঘণ কুয়াশার মধ্যে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হরিনাঘাটা নামকস্থানে ভোলা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সাথে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই লঞ্চের কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী আহত এবং চারজন যাত্রী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

দুর্ঘটনায় ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানাধীন মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। নিহতরা হলেন-ভোলার লালমোহন উপজেলার কাজিরাবাদ গ্রামের সিরাজুল বেপারীর ছেলে আব্দুল গনি (৩৮), একই গ্রামের মৃত কালু খানের ছেলে মো. সাজু (৪৫), চরফ্যাশন উপজেলার আহম্মদপুর দুলারহাট গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (৬০) ও লালমোহন উপজেলার কচুখালি গজারিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের মেয়ে রিনা বেগম (৩৫)।

এছাড়া দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়ে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন-ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল দুলারহাট গ্রামের মো. কাঞ্চন মিয়ার স্ত্রী পারুল বেগম (৬৫), লালমোহন উপজেলার কুয়াখালী গ্রামের মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ মিলন (৩৫), বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ নান্নু (৬৩) ও উমর ফারুকের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে-একইদিন রাতে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের আমীরাবাদ নামক এলাকায় ঈগল-৪ লঞ্চের ধাক্কায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ঢাকা থেকে বরিশালেগামী যাত্রীবাহি এম খান-৭ লঞ্চ।

দুর্ঘটনায় এম খান লঞ্চের পাশের চারটি টেক্সিন এবং খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যাত্রীরা নিরাপদে সবাই বরিশালে এসেছে।

এম খানের সুপারভাইজার মো. শুভ জানিয়েছেন-লঞ্চটি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে কিন্তু চারদিকে প্রচুর ঘণকুয়াশা ছিল। এ সময় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা ঈগল-৪ নামের লঞ্চটি ডান পাশ থেকে এসে ধাক্কা দেয়।

সৌদি আরব ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়েছে

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আটক

প্রকাশিত : ০৮:০৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

বরিশাল প্রতিনিধি : মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হাইমচর থানাধীন হরিনাঘাটা নামকস্থানে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ ও লঞ্চের চারজন স্টাফকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন- ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ এবং লঞ্চের চারজন স্টাফকে আটক করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা সভায় যোগ দিয়ে ঝালকাঠির নেতাকর্মীরা অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামক লঞ্চে করে ঝালকাঠিতে ফিরছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ঘণ কুয়াশার মধ্যে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হরিনাঘাটা নামকস্থানে ভোলা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সাথে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই লঞ্চের কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী আহত এবং চারজন যাত্রী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

দুর্ঘটনায় ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানাধীন মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। নিহতরা হলেন-ভোলার লালমোহন উপজেলার কাজিরাবাদ গ্রামের সিরাজুল বেপারীর ছেলে আব্দুল গনি (৩৮), একই গ্রামের মৃত কালু খানের ছেলে মো. সাজু (৪৫), চরফ্যাশন উপজেলার আহম্মদপুর দুলারহাট গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (৬০) ও লালমোহন উপজেলার কচুখালি গজারিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের মেয়ে রিনা বেগম (৩৫)।

এছাড়া দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়ে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন-ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল দুলারহাট গ্রামের মো. কাঞ্চন মিয়ার স্ত্রী পারুল বেগম (৬৫), লালমোহন উপজেলার কুয়াখালী গ্রামের মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ মিলন (৩৫), বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ নান্নু (৬৩) ও উমর ফারুকের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে-একইদিন রাতে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের আমীরাবাদ নামক এলাকায় ঈগল-৪ লঞ্চের ধাক্কায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ঢাকা থেকে বরিশালেগামী যাত্রীবাহি এম খান-৭ লঞ্চ।

দুর্ঘটনায় এম খান লঞ্চের পাশের চারটি টেক্সিন এবং খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যাত্রীরা নিরাপদে সবাই বরিশালে এসেছে।

এম খানের সুপারভাইজার মো. শুভ জানিয়েছেন-লঞ্চটি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে কিন্তু চারদিকে প্রচুর ঘণকুয়াশা ছিল। এ সময় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে আসা ঈগল-৪ নামের লঞ্চটি ডান পাশ থেকে এসে ধাক্কা দেয়।