সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এর আগে বেলা ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়া জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণকালের বৃহৎ এই জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষের ভিড় সংসদ ভবন এলাকা ছাড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে এক মহাসমুদ্রে রূপ নেয়। নামাজে জানাজায় অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা। বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ছাড়াও বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানাজার সম্মুখসারিতে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার শোকাহত জ্যেষ্ঠপুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বুকে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা জানাতে দেখা যায়। সম্মুখসারিতে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আইন উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মির্জা আব্বাস ও মঈন খানসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। জানাজায় শুধু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ নয়, আশপাশের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে মানুষ নামাজে অংশ নেন। জায়গা না পেয়ে মেট্রোরেল স্টেশন, আশপাশের বাসা-বাড়ির ছাদ থেকেও জানাজায় অংশ নিতে দেখা যায় মানুষকে।

ডেস্ক রিপোর্ট 












