ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১২:১২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • ৫১ বার দেখা হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় দুই নেতার বিরোধ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। সোমবার (৯ জুন) দুপুরে উপজেলার মেহারি ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। হামলা হয়েছে একাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। যা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহারি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আউয়াল এবং একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ বিরোধ সোমবার দুপুরে চরমে পৌঁছে যায়। যখন তাদের অনুসারীরা শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় মুখোমুখি হয়।

দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়ায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে কামাল মিয়া (২৪), জসিম উদ্দিন (৪০), কিবরিয়া (৫০) এবং টেঁটে বিদ্ধ সুমন মিয়া (৪৫)-কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কসবা থানা পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীও অভিযানে নামে। সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বিকেল নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, এটি মূলত রাজনৈতিক আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

প্রকাশিত : ১২:১২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় দুই নেতার বিরোধ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। সোমবার (৯ জুন) দুপুরে উপজেলার মেহারি ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। হামলা হয়েছে একাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে। সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। যা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহারি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আউয়াল এবং একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ বিরোধ সোমবার দুপুরে চরমে পৌঁছে যায়। যখন তাদের অনুসারীরা শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় মুখোমুখি হয়।

দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়ায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে কামাল মিয়া (২৪), জসিম উদ্দিন (৪০), কিবরিয়া (৫০) এবং টেঁটে বিদ্ধ সুমন মিয়া (৪৫)-কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কসবা থানা পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীও অভিযানে নামে। সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বিকেল নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, এটি মূলত রাজনৈতিক আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”