পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজলার বেতাগি সানকিপুর ইউনিয়নর ভাংরা গ্রামের এইচএসসি ফাহিম বয়াতী (১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী হত্যাকান্ডের মূল আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে নিহত ফাহিমের বিদ্যাপীঠ বাউফল উপজেলার নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ মাঠে সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া এই মানববন্ধনের নিহতের সহপাঠি, শিক্ষকসহ এলাকার লোকজন অংশ নেয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে সেখানে
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন নিহত ফাহিমের মা মোছা. রেকসোনা বেগম, ভাই আবু নাঈম , সহপাঠী বন্ধু মো. মনির, মাওলানা মো. আল আমিন, আবুল গাজী, মো. হান্নান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,হত্যাকান্ডের চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রধান আসামি ধরা পড়েনি। আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সহপাঠিরা চিহ্নিত খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা কথা বলেন। পরে নিহত ফাহিমের সহপাঠি ও স্থানীয়রা কলেজ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিন করে নগরের হাট এলাকায় গিয়ে শেষ করে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, বাউফলের নওমালার সিমান্তবর্তী দশমিনা উপজলার বেতাগি সানকিপুর ইউনিয়নর ইউনিয়নর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ধলুফকির বাজার এলাকায়।
নিহত ফহিমের বাড়ি দশমিনায় হলেও লেখাপড়া করছিল বাউফলের নওমালা গ্রামের আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজে। ফাহিম হত্যাকা-ের ঘটনাটি দশমিনা উপজেলা এলাকার মধ্যে পরেছে, তরে আসামিরা সকলেই নওমালার ভাংরা গ্রামের। এ ঘটনায় দশমিলা থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে দশমিনা থানাকে আমরা সকল ধরনের সহযোগিতা করছি।
দশমিনা থানার ভারপ্রাাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আলীম বলেন, ফাহিম হত্যাকান্ড ও তাঁর বাবা জাকির হোসেনকে জখমের ঘটনায় নিহত ফাহিমের মা রেকসোনা বেগম বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে দশমিনা থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন শাকিল মীর (২০), সোহাগ (২৪), সানু মীর (৪৫)। তাঁদের মধ্যে সানু মীরকে ঘটনার সময় পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গত মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজলার বেতাগি সানকিপুর ইউনিয়নর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ধলুফকির বাজার এলাকায় ফাহিম আহম্মেদ বয়াতি (১৯) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এসময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছেন বাবা মো. জাকির হোসেন বয়াতি (৪৩)।
এদিকে ঘটনার পর স্থানীয়রা সানু মীর (৪৪) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। নিহতের পিতা গুরুতর আহত জাকির হোসেনকে বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পটুয়াখালী কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধ ও বিক্ষোভ
-
ডেস্ক রিপোর্ট
- প্রকাশিত : ০৭:১৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
- ৫২ বার দেখা হয়েছে
জনপ্রিয় সংবাদ