ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর প্রায় নয় বছর ধরে খাবার দিচ্ছেন মোহাম্মদ আলী শেখ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১১:২৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

প্রতিদিন দল বেঁধে শত শত পাখি মমতা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে আসে। ঠিক যেন ঘড়ি ধরে তাদের এই আসা যাওয়া। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে কোটচাঁদপুর পৌর শহরের মেইন বাজারের পুরাতন হোস্টেলের সামনের ওই খাবার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে চলে তাদের গমনাগমন।

আর ওই সময়টাতে খাবারের পাত্র হাতে হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী মোহাম্মদ আলী শেখ। তাকে দেখামাত্র কিচিরমিচির শব্দে শুরু হয় পাখিদের জোরেসোরে শোরগোল। তিনি পাশের দোকানগুলোর টিনের চালে খাবার ছিটাতে শুরু করলে বিদ্যুতের লাইনের তারসহ পাশের বিভিন্ন ভবনের টিনের চালের ওপর থেকে ছুটে আসে পাখিরা। এরপর খাবার খেয়ে উড়াল দেয়।

গত ৯ বছর ধরে প্রতিদিন এভাবে খাবার খেতে আসে পাখিগুলো। তাদের মধ্যে খাবার বিতরণে পরম তৃপ্তি বোধ করেন বলে জানালেন ওই হোটেলটির মালিক মোহাম্মদ আলী শেখ। তিনি বলেন, সারাদিন বেচাকেনার করার পর কিছু খাবার অবশিষ্ট থেকে যায়।  সেগুলো পাখিদের জন্য জমিয়ে রাখি।  পরের দিন সকালে দেওয়া হয় তাদের।

তিনি বলেন,  এতে আমার প্রতিদিন  এক থেকে দেড়শ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। তবে সমস্যায় পড়তে হয় যেদিন হোটেল বন্ধ থাকে; আর খাবার সব বিক্রি হয়ে যায়। ওই সব দিনগুলোতে পরোটা বানিয়ে খেতে দিতে হয় ওদের। আবার কখনও কখনও পাশের দোকান থেকে পাউরুটি কিনে  খেতে দেই।

হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী শেখ কোটচাঁদপুর পৌরসভার সলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক।

কোটচাঁদপুর উপজেলার বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে পাখিগুলো দেখতে গিয়েছিলাম। এটা একটা ভাল কাজ। তিনি পাখিদের প্রতি ভালবাসা থেকে কাজটি করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর প্রায় নয় বছর ধরে খাবার দিচ্ছেন মোহাম্মদ আলী শেখ

প্রকাশিত : ১১:২৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

প্রতিদিন দল বেঁধে শত শত পাখি মমতা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে আসে। ঠিক যেন ঘড়ি ধরে তাদের এই আসা যাওয়া। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে কোটচাঁদপুর পৌর শহরের মেইন বাজারের পুরাতন হোস্টেলের সামনের ওই খাবার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে চলে তাদের গমনাগমন।

আর ওই সময়টাতে খাবারের পাত্র হাতে হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী মোহাম্মদ আলী শেখ। তাকে দেখামাত্র কিচিরমিচির শব্দে শুরু হয় পাখিদের জোরেসোরে শোরগোল। তিনি পাশের দোকানগুলোর টিনের চালে খাবার ছিটাতে শুরু করলে বিদ্যুতের লাইনের তারসহ পাশের বিভিন্ন ভবনের টিনের চালের ওপর থেকে ছুটে আসে পাখিরা। এরপর খাবার খেয়ে উড়াল দেয়।

গত ৯ বছর ধরে প্রতিদিন এভাবে খাবার খেতে আসে পাখিগুলো। তাদের মধ্যে খাবার বিতরণে পরম তৃপ্তি বোধ করেন বলে জানালেন ওই হোটেলটির মালিক মোহাম্মদ আলী শেখ। তিনি বলেন, সারাদিন বেচাকেনার করার পর কিছু খাবার অবশিষ্ট থেকে যায়।  সেগুলো পাখিদের জন্য জমিয়ে রাখি।  পরের দিন সকালে দেওয়া হয় তাদের।

তিনি বলেন,  এতে আমার প্রতিদিন  এক থেকে দেড়শ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। তবে সমস্যায় পড়তে হয় যেদিন হোটেল বন্ধ থাকে; আর খাবার সব বিক্রি হয়ে যায়। ওই সব দিনগুলোতে পরোটা বানিয়ে খেতে দিতে হয় ওদের। আবার কখনও কখনও পাশের দোকান থেকে পাউরুটি কিনে  খেতে দেই।

হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী শেখ কোটচাঁদপুর পৌরসভার সলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক।

কোটচাঁদপুর উপজেলার বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে পাখিগুলো দেখতে গিয়েছিলাম। এটা একটা ভাল কাজ। তিনি পাখিদের প্রতি ভালবাসা থেকে কাজটি করছেন।