ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর গ্রাম আছে মানুষ নেই

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:১১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা বাজার থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম। নাম মঙ্গলপুর। গ্রামটির অবস্থা যেন মঙ্গল গ্রহের মতোই। গ্রামটিতে ফসলি জমি থাকলেও নেই কোনো বসতি। ফলে নেই মানুষের বিচরণ।

অথচ ৬০ একর ভূমির এ গ্রামে এক সময় সবই ছিল। ছিল দালান, পুকুর ও রাস্তা-ঘাট। এমনকি ছিল মসজিদ ও মন্দির।

জনশ্রুতি আছে, কলেরা, বসন্ত ও ডাকাতির ভয়ে উজাড় হয়ে গেছে গ্রামটি। বেঁচে থাকা বাসিন্দারা অমঙ্গলের আশঙ্কায় গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন।

মঙ্গলপুর গ্রামে ২০৬ টি খতিয়ানভুক্ত জমির মধ্যে সরকারি খাস ৫৯ শতক, ভিপি তালিকাভুক্ত ৫ একর ৭৭ শতক ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৫২ একর ১২ শতক। আর কাচা রাস্তা ২ একর ২ শতক।

এ ৬০ একর জমির গ্রামে এখন ধান, মসুর, আখসহ বিভিন্ন সবজি ও ফসল বাগান রয়েছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি বসতি ভিটার ধ্বংসাবশেষ ও পুকুর।

পাশপাতিলা গ্রামের অরবিন্দু কর্মকার বলেন, বাপ দাদাদের কাছে শুনেছি। একক সময় এ মঙ্গলপুর গ্রামে মানুষের বাস ছিল। গোলা ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল। গ্রামটি প্রায় মানুষ শূন্য হয়ে পড়ে আজ থেকে দেড়শ বছর আগে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর গ্রাম আছে মানুষ নেই

প্রকাশিত : ১০:১১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা বাজার থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম। নাম মঙ্গলপুর। গ্রামটির অবস্থা যেন মঙ্গল গ্রহের মতোই। গ্রামটিতে ফসলি জমি থাকলেও নেই কোনো বসতি। ফলে নেই মানুষের বিচরণ।

অথচ ৬০ একর ভূমির এ গ্রামে এক সময় সবই ছিল। ছিল দালান, পুকুর ও রাস্তা-ঘাট। এমনকি ছিল মসজিদ ও মন্দির।

জনশ্রুতি আছে, কলেরা, বসন্ত ও ডাকাতির ভয়ে উজাড় হয়ে গেছে গ্রামটি। বেঁচে থাকা বাসিন্দারা অমঙ্গলের আশঙ্কায় গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন।

মঙ্গলপুর গ্রামে ২০৬ টি খতিয়ানভুক্ত জমির মধ্যে সরকারি খাস ৫৯ শতক, ভিপি তালিকাভুক্ত ৫ একর ৭৭ শতক ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৫২ একর ১২ শতক। আর কাচা রাস্তা ২ একর ২ শতক।

এ ৬০ একর জমির গ্রামে এখন ধান, মসুর, আখসহ বিভিন্ন সবজি ও ফসল বাগান রয়েছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি বসতি ভিটার ধ্বংসাবশেষ ও পুকুর।

পাশপাতিলা গ্রামের অরবিন্দু কর্মকার বলেন, বাপ দাদাদের কাছে শুনেছি। একক সময় এ মঙ্গলপুর গ্রামে মানুষের বাস ছিল। গোলা ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল। গ্রামটি প্রায় মানুষ শূন্য হয়ে পড়ে আজ থেকে দেড়শ বছর আগে।