ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

নদীতে মিলল নারীর মরদেহ, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৪৭:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • ১২ বার দেখা হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলদিয়াড়ে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মেমজান বেগম (৪০) মধ্যবয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

শনিবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়রা মেমজানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মেমজানের মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।

মেমজান বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের চুনুরিপাড়ার আব্দুস সামাদের স্ত্রী।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেমজান বেগমের আত্মীয় এবং উদ্ধারকারী লিপি খাতুন বলেন, মেমজানে শাশুড়ি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ। তিনি প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যার পর শাশুড়ির মল-মূত্র বাড়ির সামনেই মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি আর ফেরেননি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্দেহ হলে একপর্যায়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে খোঁজা শুরু হয়। এরপর নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের বিষয়ে জানতে চাইলে লিপি খাতুন বলেন, মেমজান বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ মৃগী (খিচুনি) রোগে ভুলছিলেন। আমাদের ধারণা নদীতে যাওয়ার পরই খিচুনি শুরু হলে ব্যালেন্স হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এতে শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। এছাড়া মরদেহ উদ্ধারের সময়ও সবার হাত থেকে ফসকে পড়ে গিয়েছিল। এতে মাথায় জখম হয়।

এ বিষয়ে জানতে মেমজান বেগমের স্বামী বা পরিবারের অন্য স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেক জুনায়েত বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা মেমজান বেগমকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছিলেন। তার মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি, তিনি মৃগী রোগী ছিলেন। আর এই রোগীরা অনেক সময় আক্রান্ত হলে পড়ে যান এবং মৃত্যুও হতে পারে তাদের।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তাই বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক খালেদূর রহমান  বলেন, শুনেছি মাথাভাঙ্গা নদীর পানিতে ডুবে তিনি মারা গেছে। মৃগী রোগী ছিলেন তিনি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতের কারণে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। আগামীকাল (আজ) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়াকাটা সৈকত রক্ষা বাঁধে কৃষ্ণচূড়া সহ ৬ হাজার গাছ চারা রোপণ

নদীতে মিলল নারীর মরদেহ, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন

প্রকাশিত : ০৮:৪৭:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলদিয়াড়ে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মেমজান বেগম (৪০) মধ্যবয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

শনিবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়রা মেমজানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মেমজানের মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।

মেমজান বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের চুনুরিপাড়ার আব্দুস সামাদের স্ত্রী।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেমজান বেগমের আত্মীয় এবং উদ্ধারকারী লিপি খাতুন বলেন, মেমজানে শাশুড়ি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ। তিনি প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যার পর শাশুড়ির মল-মূত্র বাড়ির সামনেই মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি আর ফেরেননি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্দেহ হলে একপর্যায়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে খোঁজা শুরু হয়। এরপর নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের বিষয়ে জানতে চাইলে লিপি খাতুন বলেন, মেমজান বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ মৃগী (খিচুনি) রোগে ভুলছিলেন। আমাদের ধারণা নদীতে যাওয়ার পরই খিচুনি শুরু হলে ব্যালেন্স হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এতে শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। এছাড়া মরদেহ উদ্ধারের সময়ও সবার হাত থেকে ফসকে পড়ে গিয়েছিল। এতে মাথায় জখম হয়।

এ বিষয়ে জানতে মেমজান বেগমের স্বামী বা পরিবারের অন্য স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেক জুনায়েত বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা মেমজান বেগমকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছিলেন। তার মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি, তিনি মৃগী রোগী ছিলেন। আর এই রোগীরা অনেক সময় আক্রান্ত হলে পড়ে যান এবং মৃত্যুও হতে পারে তাদের।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তাই বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক খালেদূর রহমান  বলেন, শুনেছি মাথাভাঙ্গা নদীর পানিতে ডুবে তিনি মারা গেছে। মৃগী রোগী ছিলেন তিনি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতের কারণে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। আগামীকাল (আজ) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।