ঢাকা ১০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

চীনা নাগরিক বাংলাদেশে,গুগলে ট্রান্সলেট করে প্রেম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৩:৪০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • ২০৮ বার দেখা হয়েছে

দিনাজপুরের বিরলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এক চীনা যুবক। হ্যালো ট্যাগ নামের মোবাইল অ্যাপে পরিচয়, গুগল ট্রান্সলেটে আলাপ, এভাবেই এক বছরের বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ নেয়। সেই প্রেমের টানে জিয়াংশু সিটি থেকে উড়ে এসেছেন ইয়ং সাও সাও (২৬) নামে এক চীনা নাগরিক।

গত ৪ আগস্ট বাংলাদেশে এসে ৯ আগস্ট সুরভী আক্তার (১৯) নামে এক বাংলাদেশি তরুণীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই চীনা নাগরিক।

সুরভী বিরল উপজেলার কাজীপাড়া শিমুলতলী এলাকার নুর হোসেন বাবুর বড় মেয়ে। ইয়ং সাওয়ের বাবা ইয়াং শি মারা গেছেন, মা লিও ট্যাংহু চীনে থাকেন।

সরেজমিনে সুরভীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের গ্রাম থেকে নারী-পুরুষ ও শিশু-বয়স্ক সবাই ভিড় করছেন নতুন বিদেশি জামাইকে দেখতে। কেউ কথা বলার চেষ্টা করছেন, ইয়ং সাও মোবাইল ট্রান্সলেটে উত্তর দিচ্ছেন, অনেকে আবার সেলফি তুলছেন, ভিডিও করছেন।

প্রেম ও বিয়ে নিয়ে সুরভী আক্তার বলেন, হ্যালো ট্যাগ নামে একটি অ্যাপসের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। তারপর শুরু হয় কথা, এক সময় শুরু হয় মন দেওয়া-নেওয়া। আমাদের সম্পর্কের বয়স এক বছর। পরে সে বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি তাকে জানাই, যদি আমার ধর্ম গ্রহণ করতে পারো তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে রাজি আছি। পরে সে বাংলাদেশে আসে এবং আমাকে বিয়ে করে। আমার পরিবার ও এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি।

সুরভীর ছোট বোন রিয়া আক্তার বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার দুলাভাই চীনা নাগরিক। এটা আমার কাছে গর্ব করার মতো। কারণ আমার বোনের ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছে এবং বিয়ে করেছে। আমি দুলাভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে কথা বলছি। আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি।

সুরভীর বাবা নুর হোসেন বাবু বলেন, আমার দুই মেয়ে। তারা মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকে। আমার বড় মেয়ের সঙ্গে চীনা নাগরিকের পরিচয় হয় এবং তারা একে অপরকে পছন্দ করে। বাংলাদেশে এসে সে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। এটা জানার পর ৯ আগস্ট আমি তাদের ঢাকার গাজীপুর থেকে দিনাজপুরে নিয়ে এসেছি।

স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় বিদেশি জামাই। বিষয়টি অবশ্যই ভালো এবং গর্ব করার মতো। ইতোমধ্যে অনেকে আসছেন, দেখছেন, কথা বলছেন। ভালো লাগছে। আগে তো টিভিতে দেখেছি বিদেশি জামাই, আর এখন আমাদের এলাকায় বিদেশি জামাই এসেছে।

চীনা নাগরিক বাংলাদেশে,গুগলে ট্রান্সলেট করে প্রেম

প্রকাশিত : ০৩:৪০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

দিনাজপুরের বিরলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এক চীনা যুবক। হ্যালো ট্যাগ নামের মোবাইল অ্যাপে পরিচয়, গুগল ট্রান্সলেটে আলাপ, এভাবেই এক বছরের বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ নেয়। সেই প্রেমের টানে জিয়াংশু সিটি থেকে উড়ে এসেছেন ইয়ং সাও সাও (২৬) নামে এক চীনা নাগরিক।

গত ৪ আগস্ট বাংলাদেশে এসে ৯ আগস্ট সুরভী আক্তার (১৯) নামে এক বাংলাদেশি তরুণীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই চীনা নাগরিক।

সুরভী বিরল উপজেলার কাজীপাড়া শিমুলতলী এলাকার নুর হোসেন বাবুর বড় মেয়ে। ইয়ং সাওয়ের বাবা ইয়াং শি মারা গেছেন, মা লিও ট্যাংহু চীনে থাকেন।

সরেজমিনে সুরভীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের গ্রাম থেকে নারী-পুরুষ ও শিশু-বয়স্ক সবাই ভিড় করছেন নতুন বিদেশি জামাইকে দেখতে। কেউ কথা বলার চেষ্টা করছেন, ইয়ং সাও মোবাইল ট্রান্সলেটে উত্তর দিচ্ছেন, অনেকে আবার সেলফি তুলছেন, ভিডিও করছেন।

প্রেম ও বিয়ে নিয়ে সুরভী আক্তার বলেন, হ্যালো ট্যাগ নামে একটি অ্যাপসের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। তারপর শুরু হয় কথা, এক সময় শুরু হয় মন দেওয়া-নেওয়া। আমাদের সম্পর্কের বয়স এক বছর। পরে সে বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি তাকে জানাই, যদি আমার ধর্ম গ্রহণ করতে পারো তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে রাজি আছি। পরে সে বাংলাদেশে আসে এবং আমাকে বিয়ে করে। আমার পরিবার ও এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি।

সুরভীর ছোট বোন রিয়া আক্তার বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার দুলাভাই চীনা নাগরিক। এটা আমার কাছে গর্ব করার মতো। কারণ আমার বোনের ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছে এবং বিয়ে করেছে। আমি দুলাভাইয়ের সঙ্গে মোবাইল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে কথা বলছি। আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি।

সুরভীর বাবা নুর হোসেন বাবু বলেন, আমার দুই মেয়ে। তারা মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকে। আমার বড় মেয়ের সঙ্গে চীনা নাগরিকের পরিচয় হয় এবং তারা একে অপরকে পছন্দ করে। বাংলাদেশে এসে সে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। এটা জানার পর ৯ আগস্ট আমি তাদের ঢাকার গাজীপুর থেকে দিনাজপুরে নিয়ে এসেছি।

স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় বিদেশি জামাই। বিষয়টি অবশ্যই ভালো এবং গর্ব করার মতো। ইতোমধ্যে অনেকে আসছেন, দেখছেন, কথা বলছেন। ভালো লাগছে। আগে তো টিভিতে দেখেছি বিদেশি জামাই, আর এখন আমাদের এলাকায় বিদেশি জামাই এসেছে।