ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

‘তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো প্রজন্মের থেকে দুঃসাহসী’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০২:২৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৪১ বার দেখা হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো প্রজন্মের থেকে দুঃসাহসী। তারা যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে চায়। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলসহ ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে একুশে পদক প্রদানের পর তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি অভিভূত ও বাকরুদ্ধ। জাতির কৃতি সন্তানদের সম্মান জানাতে পেরে আমরা সবাই আনন্দে আপ্লুত। নারী ফুটবল দল আমাদের জাতিকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছে, এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে সুযোগ এসেছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের।

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা জানি একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের অভিলাষী স্মারক। ১৯৫২ সালের এই মাসে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাকিস্তানি শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল ছাত্র-সমাজ।

‘ঢাকার রাজপথে বুকে তাজারক্ত ঢেলে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের স্বাধিকার চেতনার এক অবিশ্বাস্য জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, ঘুণে ধরা আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তরুণরা নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। সে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সব সম্পদের ওপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, মানুষের স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের সব সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়।

‘তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো প্রজন্মের থেকে দুঃসাহসী’

প্রকাশিত : ০২:২৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো প্রজন্মের থেকে দুঃসাহসী। তারা যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে চায়। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলসহ ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে একুশে পদক প্রদানের পর তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি অভিভূত ও বাকরুদ্ধ। জাতির কৃতি সন্তানদের সম্মান জানাতে পেরে আমরা সবাই আনন্দে আপ্লুত। নারী ফুটবল দল আমাদের জাতিকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছে, এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে সুযোগ এসেছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের।

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা জানি একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের অভিলাষী স্মারক। ১৯৫২ সালের এই মাসে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাকিস্তানি শাসকদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল ছাত্র-সমাজ।

‘ঢাকার রাজপথে বুকে তাজারক্ত ঢেলে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের স্বাধিকার চেতনার এক অবিশ্বাস্য জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, ঘুণে ধরা আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তরুণরা নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। সে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সব সম্পদের ওপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, মানুষের স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের সব সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়।