ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নৌকাডুবিতে ১৮ অভিবাসীর মৃত্যু লিবিয়ার উপকূলে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:২৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ১১৪ বার দেখা হয়েছে

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোবরুকের উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকাডুবে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও কমপক্ষে ৫০ অভিবাসী। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আইওএম বলেছে, তোবরুক উপকূলে নৌকাডুবির ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন জীবিতকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এই অভিবাসীরা কোন দেশের নাগরিক তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

মিসর সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত লিবিয়ার তোবরুক একটি উপকূলীয় শহর। ২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত গণঅভ্যুত্থানে মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পতনের পর থেকে ইউরোপগামী অভিবাসীদের জন্য অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পথ হয়ে উঠেছে লিবিয়া।

আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের দারিদ্র্য এবং সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে যাওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে দেশটি।

নিজ দেশ থেকে ছেড়ে আসা এই অভিবাসীরা সাহারা মরুভূমি পেরিয়ে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। এক বিবৃতিতে আইওএম বলেছে, নিরাপত্তা ও সুযোগের খোঁজে মানুষ কী ধরনের ভয়ানক ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছে, তা সাম্প্রতিক এই দুর্ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, লিবিয়া এখনও অভিবাসী ও শরণার্থীদের প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট। যদিও এই দেশটিতে পৌঁছানো অভিবাসীরা প্রায়ই শোষণ, নির্যাতন ও প্রাণঘাতী বিপদের মুখোমুখি হন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনী প্রচারণায় সালাহউদ্দিন

নৌকাডুবিতে ১৮ অভিবাসীর মৃত্যু লিবিয়ার উপকূলে

প্রকাশিত : ০৮:২৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোবরুকের উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকাডুবে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও কমপক্ষে ৫০ অভিবাসী। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আইওএম বলেছে, তোবরুক উপকূলে নৌকাডুবির ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন জীবিতকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়া এই অভিবাসীরা কোন দেশের নাগরিক তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

মিসর সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত লিবিয়ার তোবরুক একটি উপকূলীয় শহর। ২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত গণঅভ্যুত্থানে মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পতনের পর থেকে ইউরোপগামী অভিবাসীদের জন্য অন্যতম প্রধান ট্রানজিট পথ হয়ে উঠেছে লিবিয়া।

আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের দারিদ্র্য এবং সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে যাওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে দেশটি।

নিজ দেশ থেকে ছেড়ে আসা এই অভিবাসীরা সাহারা মরুভূমি পেরিয়ে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। এক বিবৃতিতে আইওএম বলেছে, নিরাপত্তা ও সুযোগের খোঁজে মানুষ কী ধরনের ভয়ানক ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছে, তা সাম্প্রতিক এই দুর্ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, লিবিয়া এখনও অভিবাসী ও শরণার্থীদের প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট। যদিও এই দেশটিতে পৌঁছানো অভিবাসীরা প্রায়ই শোষণ, নির্যাতন ও প্রাণঘাতী বিপদের মুখোমুখি হন।