দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিতে একটি মন্দিরে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ছয় জন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে।
মূলত টিকিটের জন্য ভিড় করলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, দর্শনার্থীরা প্রায় ২ হাজার বছরের পুরনো মন্দিরে প্রবেশের টোকেন পেতে বুধবার সকাল থেকেই সারিবদ্ধ হতে শুরু করে এবং ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ‘বৈকুণ্ঠদ্বার’ দর্শনের জন্য টিকিট সংগ্রহের হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে দর্শনার্থীদের মধ্যে। মন্দির চত্বরে টিকিটের জন্য রীতিমতো মারপিট করছেন শত শত ভক্ত। পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা অনেক চেষ্টা করেও সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
এ ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মোদি বলেন, তিরুপতি মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় মর্মাহত। প্রিয়জনদের হারানোদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ সাহায্য করছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও শোকপ্রকাশ করে এক্সে লিখেন, তিরুপতি মন্দিরে পদদলনের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই প্রার্থনা করি।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী শোকবার্তায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি কংগ্রেস কর্মীদের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অন্ধ্রপ্রদেশে যেসব মন্দিরে সবচেয়ে বেশি ভক্তের সমাগম হয় সেই মন্দিরগুলোর দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি)-এর চেয়ারম্যান বি আর নাইডু বলেন, ‘মন্দিরের গেট খোলার সাথে সাথেই সবাই সামনের দিকে ধাক্কাধাক্কি করে যার ফলে এই পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ছয় জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।’
১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া ১০ দিনের বৈকুণ্ঠের বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সারা দেশ থেকে শত শত ভক্ত এই মন্দিরে সমবেত হয়েছিলেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 



























