ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

গাজা সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন মিসরের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১১:১৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৮ বার দেখা হয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে মিসর। দখলদার ইসরায়েল গাজার মূল শহর গাজা সিটিতে বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাদের হামলার কারণে গাজার মানুষকে মিসরের উত্তর সিনাই উপত্যকায় প্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন এমন আশঙ্কা থেকে দেশটি নিজেদের সীমান্তে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইকে এ তথ্য জানিয়েছেন মিসরের এক সামরিক কর্মকর্তা।

তিনি বলেছেন, উত্তর সিনাইয়ে এখন ৪০ হাজার সেনা রয়েছে। যা ইসরায়েল-মিসরের ১৯৭৯ সালের শান্তিচুক্তির আওতায় নির্ধারিত সেনার চেয়ে অনেক বেশি।

একটি সূত্র বলেছেন, “গত কয়েক বছরের মধ্যে আমরা মিসরের সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় দেখতে পাচ্ছি।”

ওই সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ এল-সিসির সরাসরি নির্দেশনায় সিনাইয়ে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সিসি সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ইসরায়েল গাজা থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন ও গাজার অনেক মানুষকে সেখান থেকে বের করে দিতে চায়। মিসর এ প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে।

মিসরের সেনারা সিনাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে আছেন। গাজা সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিকে ‘জোন সি’ বলা হয়। সেখানেও ব্যাপক সেনা রয়েছে।

মিসরীয় সূত্রটি জানিয়েছেন, সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে ইসরায়েলকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, শুধুমাত্র নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।

কিন্তু ইসরায়েল যদি কোনো কথায় মিসরের কোথাও হামলা চালায় তাহলে এর কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাজা সীমান্তে এখন মিসরীয় সেনাদের সাঁজোয়া যান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ বাহিনী এবং এম৬০ যুদ্ধট্যাংক অবস্থান করছে।

এদিকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, গাজার মানুষকে অন্যত্র সরানোয় তারা রাজি না, এতে তারা সহায়তা করবেন না এবং এটি হতেও দেবেন না।

ড্যাপের পরিবর্তন বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার প্রচেষ্টার কফিনে শেষ পেরেক

গাজা সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন মিসরের

প্রকাশিত : ১১:১৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে মিসর। দখলদার ইসরায়েল গাজার মূল শহর গাজা সিটিতে বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাদের হামলার কারণে গাজার মানুষকে মিসরের উত্তর সিনাই উপত্যকায় প্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন এমন আশঙ্কা থেকে দেশটি নিজেদের সীমান্তে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইকে এ তথ্য জানিয়েছেন মিসরের এক সামরিক কর্মকর্তা।

তিনি বলেছেন, উত্তর সিনাইয়ে এখন ৪০ হাজার সেনা রয়েছে। যা ইসরায়েল-মিসরের ১৯৭৯ সালের শান্তিচুক্তির আওতায় নির্ধারিত সেনার চেয়ে অনেক বেশি।

একটি সূত্র বলেছেন, “গত কয়েক বছরের মধ্যে আমরা মিসরের সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় দেখতে পাচ্ছি।”

ওই সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ এল-সিসির সরাসরি নির্দেশনায় সিনাইয়ে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সিসি সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ইসরায়েল গাজা থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন ও গাজার অনেক মানুষকে সেখান থেকে বের করে দিতে চায়। মিসর এ প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে।

মিসরের সেনারা সিনাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে আছেন। গাজা সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিকে ‘জোন সি’ বলা হয়। সেখানেও ব্যাপক সেনা রয়েছে।

মিসরীয় সূত্রটি জানিয়েছেন, সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে ইসরায়েলকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, শুধুমাত্র নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।

কিন্তু ইসরায়েল যদি কোনো কথায় মিসরের কোথাও হামলা চালায় তাহলে এর কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাজা সীমান্তে এখন মিসরীয় সেনাদের সাঁজোয়া যান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ বাহিনী এবং এম৬০ যুদ্ধট্যাংক অবস্থান করছে।

এদিকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, গাজার মানুষকে অন্যত্র সরানোয় তারা রাজি না, এতে তারা সহায়তা করবেন না এবং এটি হতেও দেবেন না।