ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

গাজার কবরস্থানে আর জায়গা নেই

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৭০ বার দেখা হয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হাজার হাজার মানুষ নিহত ও ভবন ধ্বংসের ঘটনায় সেখানে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই বিপর্যয়ে যুক্ত হয়েছে মরদেহ কবর দেওয়ার জায়গা সংকট।

কবরস্থানগুলোতে এত মানুষকে সমাহিত করা হয়েছে যে সেখানে এখন আর জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে মানুষ তাঁবুর পাশে, বিভিন্ন স্থান, হাসপাতালের পাশে প্রিয়জনদের কবর দিচ্ছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কবরস্থানগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে যখন দখলদার ইসরায়েল কবরস্থানগুলো লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে।

২০২৩ সাল থেকে চলা ইসরায়েলিদের বর্বরতায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দেড় লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করা হয়।

বর্বর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। সর্বশেষ ৬০ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সামনে এনেছে তারা। হামাস ইতিমধ্যে এতে সম্মতি জানিয়েছে। অপরদিকে দখলদার ইসরায়েলকে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য চুক্তির খসড়া পাঠানো হয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে তারা প্রতিক্রিয়া জানাবে। যদিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে হলে হামাসকে জীবিত ও মৃত ৫০ জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে হবে। এরমাধ্যমে মূলত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। তবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তাদের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।

ড্যাপের পরিবর্তন বাসযোগ্য ঢাকা গড়ার প্রচেষ্টার কফিনে শেষ পেরেক

গাজার কবরস্থানে আর জায়গা নেই

প্রকাশিত : ০৮:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হাজার হাজার মানুষ নিহত ও ভবন ধ্বংসের ঘটনায় সেখানে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই বিপর্যয়ে যুক্ত হয়েছে মরদেহ কবর দেওয়ার জায়গা সংকট।

কবরস্থানগুলোতে এত মানুষকে সমাহিত করা হয়েছে যে সেখানে এখন আর জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে মানুষ তাঁবুর পাশে, বিভিন্ন স্থান, হাসপাতালের পাশে প্রিয়জনদের কবর দিচ্ছেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কবরস্থানগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে যখন দখলদার ইসরায়েল কবরস্থানগুলো লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে।

২০২৩ সাল থেকে চলা ইসরায়েলিদের বর্বরতায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দেড় লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করা হয়।

বর্বর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। সর্বশেষ ৬০ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সামনে এনেছে তারা। হামাস ইতিমধ্যে এতে সম্মতি জানিয়েছে। অপরদিকে দখলদার ইসরায়েলকে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য চুক্তির খসড়া পাঠানো হয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে তারা প্রতিক্রিয়া জানাবে। যদিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে হলে হামাসকে জীবিত ও মৃত ৫০ জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে হবে। এরমাধ্যমে মূলত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। তবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তাদের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।