ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নাসের হাসপাতালে গতকাল সোমবার পর পর দুই বার হামলায় চালায় দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। ওই হামলায় পাঁচ সাংবাদিক, উদ্ধাকর্মীসহ ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নাসের হাসপাতালে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ক্যামেরা স্থাপন করেছে। ওই ক্যামেরায় লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, ক্যামেরার মাধ্যমে তাদের সেনাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে সেগুলো যোদ্ধাদের কাছে জানাচ্ছিল হামাস। এ কারণে ক্যামেরাটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজায় রক্তক্ষয়ী এসব হামলার বৈধতা দিতে ইসরায়েল বেশিরভাগ সময় হামাসের ওপর হামলার কথা বলে থাকে।
নাসের হাসপাতালে ভয়াবহ ওই হামলা সরাসরি সম্প্রচারিত ভিডিওতে ধরা পড়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রথমে একবার হাসপাতালটিতে ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়া হয়েছে। এরপর যখন সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ ও উদ্ধারকারীরা আহতদের উদ্ধার করতে যান তখন তাদের লক্ষ্য করে আবারও হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারান উপস্থিত মানুষ।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজায় ইসরায়েলের এসব নির্বিচার হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে যুদ্ধের শুরু থেকেই। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য থেকেই জানা গেছে, এখন পর্যন্ত তারা গাজায় যতজনকে হত্যা করেছে তার মধ্যে ৮৩ শতাংশই বেসামরিক মানুষ ছিলেন।
নাসের হাসপাতালে বর্বর হামলার পর যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি গাজায় (হত্যাযজ্ঞের) এমন চিত্র দেখতে চান না।

ডেস্ক রিপোর্ট 























