ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

বরিশালে বালুর বস্তার উপরে সেতু। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:১৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি :

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বামরাইল বাজার এলাকায় সেতুটির তিন গর্ডারের দুটিতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সেটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করেছে সেটির ওপর দিয়ে। এদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক বিভাগ সেতুর নিচে বালুর বস্তা ফেলে একরকম ঠেক দিয়ে রেখেছে। সেতুটি ভেঙে পড়লে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তারা জানান, ৬০-৬৫ বছর আগে সড়কের বামরাইল এলাকায় এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পদ্মাসেতু চালুর পর প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুটির দুই প্রান্তে দুটি গতিরোধক রয়েছে। ফলে সেতুটির ওপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় নিচের মাটি সরে গেছে। সেতুর পাশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেতুটির তিনটি গার্ডারের মধ্যে দুটিতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেলা বালুর বস্তার ওপর ভর করে সেতুটি টিকে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হিসেবে ঘোষণা করে দুই প্রান্তে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’। ৫ টনের বেশি ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ। কিন্তু ওই সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন পাথর, রড, সিমেন্টবোঝাই ২০ থেকে ৪০ টনের বেশি মালবাহী ট্রাক চলাচল করছে। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সেতুটি যেকোনো সময়ে ভেঙে পারতে পারে- এমন আতঙ্কের মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন চালক ও যাত্রীরা। এমনটি হলে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান এই সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে জানান তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা এসে ৩৫-৪০ জন শ্রমিক নিয়ে সেতুর নিচে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেক দিয়েছেন। কিন্তু এতে কোনো স্থায়ী সমাধান হবে না। দ্রুত সেতুটি সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণ না করলে যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। সেটি হলে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে বরিশালের প্রধান সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।’

গ্রিন লাইন পরিবহনের চালক ইয়াসিন মিয়া বলেন, ‘গাড়ি নিয়ে বামরাইল সেতুর ওপর উঠতে ভয় লাগে। কখন ভেঙে চুরে নিচে পড়ে যাই, তার ঠিক নেই। বিকল্প সড়ক ও সেতু না থাকায় সতর্কতা নিয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পার হতে বাধ্য হচ্ছি।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন,দৈনিক বাংলা কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সেতুটি যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য বালুর বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটি টেকসই সমাধান নয়। সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।’

বরিশালে বালুর বস্তার উপরে সেতু। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

প্রকাশিত : ০৫:১৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

বরিশাল প্রতিনিধি :

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বামরাইল বাজার এলাকায় সেতুটির তিন গর্ডারের দুটিতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সেটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করেছে সেটির ওপর দিয়ে। এদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক বিভাগ সেতুর নিচে বালুর বস্তা ফেলে একরকম ঠেক দিয়ে রেখেছে। সেতুটি ভেঙে পড়লে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তারা জানান, ৬০-৬৫ বছর আগে সড়কের বামরাইল এলাকায় এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পদ্মাসেতু চালুর পর প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুটির দুই প্রান্তে দুটি গতিরোধক রয়েছে। ফলে সেতুটির ওপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় নিচের মাটি সরে গেছে। সেতুর পাশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেতুটির তিনটি গার্ডারের মধ্যে দুটিতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। পরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেলা বালুর বস্তার ওপর ভর করে সেতুটি টিকে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হিসেবে ঘোষণা করে দুই প্রান্তে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’। ৫ টনের বেশি ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ। কিন্তু ওই সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন পাথর, রড, সিমেন্টবোঝাই ২০ থেকে ৪০ টনের বেশি মালবাহী ট্রাক চলাচল করছে। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সেতুটি যেকোনো সময়ে ভেঙে পারতে পারে- এমন আতঙ্কের মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন চালক ও যাত্রীরা। এমনটি হলে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান এই সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে জানান তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা এসে ৩৫-৪০ জন শ্রমিক নিয়ে সেতুর নিচে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেক দিয়েছেন। কিন্তু এতে কোনো স্থায়ী সমাধান হবে না। দ্রুত সেতুটি সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণ না করলে যেকোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। সেটি হলে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে বরিশালের প্রধান সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।’

গ্রিন লাইন পরিবহনের চালক ইয়াসিন মিয়া বলেন, ‘গাড়ি নিয়ে বামরাইল সেতুর ওপর উঠতে ভয় লাগে। কখন ভেঙে চুরে নিচে পড়ে যাই, তার ঠিক নেই। বিকল্প সড়ক ও সেতু না থাকায় সতর্কতা নিয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পার হতে বাধ্য হচ্ছি।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন,দৈনিক বাংলা কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সেতুটি যাতে ভেঙে না পড়ে, সে জন্য বালুর বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটি টেকসই সমাধান নয়। সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।’