ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি নিশ্চায়ন ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নির্দেশনাকে ‘আইনসিদ্ধ নয়’ আখ্যা দিয়ে টানা তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এ সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসকের তিন কার্যদিবসের মধ্যে পদত্যাগও দাবি করেছেন তারা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক জরুরি সভায় তারা এ মত প্রকাশ করেন।
এরপর প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন ১৭–২০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সভায় উপস্থিত শিক্ষকরা বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগেই এমন নির্দেশনা বিভিন্ন আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মাধ্যমে বিধিবদ্ধভাবে সরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষকরা প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও ভর্তি–সংক্রান্ত কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই বলেও তারা উল্লেখ করেন।

সভায় সাত কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ দ্রুত জারি করে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
জরুরি সভা থেকে তিন দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৮, ১৯ ও ২০ নভেম্বর সরকারি সাত কলেজে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান পাবলিক পরীক্ষা এ কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
সভায় আরও দাবি জানানো হয়, সাত কলেজের জেনারেল মিটিং এবং বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভর্তি নির্দেশনা ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নোটিশ জারির মাধ্যমে জটিলতা সৃষ্টির দায়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসককে তিন কার্যদিবসের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
এছাড়া বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে প্রয়োজন হলে সারা দেশে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















