অভিনেতা জায়েদ খান গত কয়েকমাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়িয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করায় এবং দলটির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার ভয়ে দেশে ফিরছেন না এই নায়ক।
জুলাই আন্দোলনের পর একটি রাজনৈতিক মামলার আসামী হওয়ায় দেশে ফেরা অনেকটা কাল হয়েছে এই নায়কের। তবে জায়েদ বললেন, আমার দেশে ফিরতে কোনো ভয় নেই। তিনি বলেন, “আমি কোনো অন্যায় করিনি। যেহেতু অন্যায় করিনি দেশে আসতে ভয় কেন পাবো?”
জায়েদ বলেন, আমি এই জায়গায় (নিউ ইয়র্ক) একটা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছি। যেহেতু দেশে অনেক দিন কাজ করলাম, দেশে কাজও কম, রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অনেক শিল্পী কাজ পাচ্ছেন না, সবাই তো বিদেশে এসে কাজ করছেন। আমিও বিভিন্ন জায়গায় শো করছি। এখানে আমি বসে নেই। দেশে ফেরার ব্যাপারে আমার ভয়ের কোনো কারণ নেই।
জায়েদ খান আরও বলেন, সত্যিকারের শিল্পী কখনো অন্যায়-দুর্নীতি করতে পারে না। আপনি কোনো একটা দলকে পছন্দ করতে পারেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। শিল্পীদের ব্যক্তিগত মতাদর্শ থাকতে পারে। আপনারা দেখবেন, তাদের দ্বারা কোনো দুর্নীতি হচ্ছে কি না।
“আমি দেশের আইন অমান্য করেছি? আমি কারোও ক্ষতি করেছি? অবৈধভাবে টাকা ইনকাম করেছি? আমি কষ্ট করে শৈল্পিক লাইন দিয়ে অর্থ উপার্জন করেছি, কোনো অন্যায় কাজ করিনি। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। যদি করতাম, তাহলে শিল্পীসমিতিই আমার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতো। আমি যখন সমিতিতে ছিলাম, দুপুরের খাবারও নিজের টাকায় খেয়েছি। চার বছরে কোনো দিন সমিতির টাকায় খাইনি।” বলছিলেন জায়েদ।
অভিনেত্রী নিপুণকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্পী সমিতি। এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, শিল্পী সমিতি যা করেছে, তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। ইন্ডাস্ট্রির মানুষের তার সঙ্গে সম্পর্কই রাখা উচিত না। একটা ইন্ডাস্ট্রির শিল্পীদের সম্মান তিনি কোথায় নিয়ে গেছেন! নায়িকারা হচ্ছেন ভালোবাসার প্রতীক, তারা মানুষের সঙ্গে সাবলীল থাকবে, ভালোভাবে থাকবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন জায়েদ খান। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কাটানো জায়েদ এবার সেখানেই যুক্ত হলেন নতুন পেশায়।
নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’য় যোগ দিয়েছেন তিনি। সেখানে প্রথমবারের মতো উপস্থাপক হিসেবে দেখা যাবে এই নায়ককে। ঠিকানার ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিনোদনমূলক একটি টকশো উপস্থাপনা করবেন, যেখানে শোবিজ ও চলচ্চিত্রের তারকারা উপস্থিত থাকবেন।