ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ডিমলায় বুড়ি তিস্তা নদী খনন প্রকল্পের প্রতিবাদে এলাকাবাসির মশালমিছিল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:৪০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

নীলফামারী প্রতিনিধি:-  নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা নদী খনন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিরুদ্ধে মশালমিছিল করেছে এলাকাবাসি।গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কুটিরডাঙ্গা গ্রাম থেকে হাজার-হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু মশাল হাতে মিছিল করেন।এলাকাবাসির অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে হাজার হাজার পরিবার আবাদি জমি এ ভিটেমাটি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পথে বসবে।এসব জমিতে আবাদ হয় ধান, ভুট্টা আলু, মরিচ, পিঁয়াজসহ বছরে তিন ধরণের অধিক ফসল। ২০০৯ সাল থেকে এই নদী খনন নিয়ে পাউবোর লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে,হয়েছে মামলাও।

সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে যে কোনো মুহুর্তে বড় রকমের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।মশাল মিছিল শেষে বক্তব্য দেন, জাহিদুল ইসলাম জাদু,আব্দুল আলিম,হেকিম শামিম।এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডে বুড়ি তিস্তা ব্যারেজ এলাকার প্রায় এক হাজার ২ শত ১৭ একর জমি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে অধিগ্রহণ করেছে।বুড়ি তিস্তা নদী খনন হলে পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারকে বসতভিটা, ফসলের জমি ও জীবিকা সব হারিয়ে পথে বসতে হবে।২০০৯ সাল থেকে এই নদী নিয়ে আন্দোলন চলছে।২০১৮ সাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ পর্যন্ত ৭৫০ জন কৃষকের নামে ১১ টা মিথ্যা মামলা দিয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধেও নীলফামারী আদালতে সিভিল মামলা দায়ের করেছে এলাকাবাসি।জমির কাগজপত্র মোতাবেক মূল মালিক আমরা হওয়া সত্ত্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ড এই জমিতে প্রকল্প করার সিদ্ধান্ত নেয়।জীবন বাঁচানোর তাগিদেই বাধ্য হয়ে আমরা প্রতিবাদ করছি।এই মশাল মিছিলের মাধ্যমে আমরা সরকার কে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই আমরা কোনভাবেই বুড়ি তিস্তা নদী খনন চাই না। অবিলম্বে এই রাক্ষুসে প্রকল্প বাতিল করে আমাদের জীবন ও বসতভিটাসহ তিনের অদিক ফসলি জমি রক্ষা করতে হবে।

এ বিষয়ে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, বুড়ি তিস্তা খননের জন্য ২০২১ সালের মে মাসে ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ৫ জন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন ১ হাজার ২ শত১৭ একর জমির মধ্যে বুড়ি তিস্তার মূল জলধারার ৬৬৭ একর জমি খননের প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।

ডিএসসিসি অবৈধ ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে সোমবার থেকে মাঠে নামছে

ডিমলায় বুড়ি তিস্তা নদী খনন প্রকল্পের প্রতিবাদে এলাকাবাসির মশালমিছিল

প্রকাশিত : ০৮:৪০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি:-  নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা নদী খনন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিরুদ্ধে মশালমিছিল করেছে এলাকাবাসি।গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কুটিরডাঙ্গা গ্রাম থেকে হাজার-হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু মশাল হাতে মিছিল করেন।এলাকাবাসির অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে হাজার হাজার পরিবার আবাদি জমি এ ভিটেমাটি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পথে বসবে।এসব জমিতে আবাদ হয় ধান, ভুট্টা আলু, মরিচ, পিঁয়াজসহ বছরে তিন ধরণের অধিক ফসল। ২০০৯ সাল থেকে এই নদী খনন নিয়ে পাউবোর লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে,হয়েছে মামলাও।

সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে যে কোনো মুহুর্তে বড় রকমের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।মশাল মিছিল শেষে বক্তব্য দেন, জাহিদুল ইসলাম জাদু,আব্দুল আলিম,হেকিম শামিম।এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডে বুড়ি তিস্তা ব্যারেজ এলাকার প্রায় এক হাজার ২ শত ১৭ একর জমি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে অধিগ্রহণ করেছে।বুড়ি তিস্তা নদী খনন হলে পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারকে বসতভিটা, ফসলের জমি ও জীবিকা সব হারিয়ে পথে বসতে হবে।২০০৯ সাল থেকে এই নদী নিয়ে আন্দোলন চলছে।২০১৮ সাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ পর্যন্ত ৭৫০ জন কৃষকের নামে ১১ টা মিথ্যা মামলা দিয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধেও নীলফামারী আদালতে সিভিল মামলা দায়ের করেছে এলাকাবাসি।জমির কাগজপত্র মোতাবেক মূল মালিক আমরা হওয়া সত্ত্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ড এই জমিতে প্রকল্প করার সিদ্ধান্ত নেয়।জীবন বাঁচানোর তাগিদেই বাধ্য হয়ে আমরা প্রতিবাদ করছি।এই মশাল মিছিলের মাধ্যমে আমরা সরকার কে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই আমরা কোনভাবেই বুড়ি তিস্তা নদী খনন চাই না। অবিলম্বে এই রাক্ষুসে প্রকল্প বাতিল করে আমাদের জীবন ও বসতভিটাসহ তিনের অদিক ফসলি জমি রক্ষা করতে হবে।

এ বিষয়ে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, বুড়ি তিস্তা খননের জন্য ২০২১ সালের মে মাসে ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ৫ জন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন ১ হাজার ২ শত১৭ একর জমির মধ্যে বুড়ি তিস্তার মূল জলধারার ৬৬৭ একর জমি খননের প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।