ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তদারকি ও মনিটরিং সমন্বয় কমিটি’র আলোচনা সভা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:১৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে
বেনাপোল-শার্শা প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম তদারকি/মনিটরিং এর নিমিত্তে গঠিত কমিটি ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে
আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১১ টার সময় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন এর সম্মেলন কক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দরের
উপসচিব পরিচালক (ট্রাফিক),মোঃ শামীম হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান টি শুরু হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপসচিব পরিচালক (ট্রাফিক),মোঃ শামীম হোসেন বলেন,আমি সব সময় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্থলবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম তদারকি ও মনিটরিং করি,তবে এই বন্দর এলাকার সকল প্রশাসন যদি একসাথে কাজ করি তাহলে এ বন্দর নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, এই বন্দরের চোরাকারবারি ও চেকপোস্ট এলাকার চুরি ছিনতাই কারীদের ধরে,সাথে সাথে সাজা দেয়ার জন্য পেসেঞ্জার টার্মিনালে ম্যাজিস্ট্রেট এর অফিস করা হয়েছে। যাতে করে তাদেরকে দ্রুত বিচার করে,জেল হাজতে পাঠানো যায় সে ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, বন্দরের সিকিউরিটি গার্ড ঠিক করেন,তাহলে সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে, তা না হলে দিন দিন চুরি বাড়তেই থাকবে।
তারা আরও বলেন, এই বন্দরে সাধারণ লেবার শ্রমিকদের কোন টয়লেট নাই নামাজ পড়ার জায়গা নাই। তারা কিভাবে কাজ করবে।
সুত্রে জানাগেছে,বেনাপোল স্থলবন্দর দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর এবং প্রথম শ্রেণীর কেপিআইভুক্ত স্থাপনা। বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা প্রবিধানমালা, ২০০৭ এর বিবি (১৬) অনুচ্ছেদে স্থলবন্দরকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রবিধানমালার বিবি ৪ থেকে ১৩ পর্যন্ত সংরক্ষিত এলাকায় বাক্তি ও যান চলাচল প্রবেশ/নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধতা আরোপসহ রক্ষিত পণ্য ও তথ্যের নিরাপত্তা সংরক্ষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ রয়েছে। কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা, ২০১৩ এ বেনাপোল স্থলবন্দর বন্দরকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিবেচনায় প্রথম শ্রেণীভুক্ত (১’খ) কেপিআই করা হয়েছে।
সে প্রেক্ষিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম তদারকি/মনিটরিং করার লক্ষো নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
 আহবায়ক যারা হলেন,
১) আহবায়ক উপ-পরিচালক (প্রশাসন), বেনাপোল স্থলবন্দর, যশোর (নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত)।
(2) সদস্য উপ-পরিচালক (ট্রাফিক)-১, বেনাপোল স্থলবন্দর, যশোর।
(৩) সদস্য-সচিব, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)-১, বেনাপোল স্থলবন্দর, যশোর।
(8) সদস্য, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক)-১, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
(৫) সদস্য,সহকারী প্রোগ্রামার, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
(৬) সদস্য,ইনচার্জ, এপিবিএন ক্যাম্প, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
( ৭) সদস্য,কায়ার পরিদর্শক, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
(৮) সদস্য,প্লাটুন কমান্ডার, আনসার ক্যাম্প, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
(৯) সদস্য,প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, বেসরকারী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপপরিচালক (প্রশাসন) রাশেদুল সজিব নাজির, উপ-পরিচালক(ট্রাফিক)মোঃ রুহল আমিন,
সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) কাজী রতন,
বেনাপোল কাস্টমস এর সহকারী কমিশনার মোঃ রাহাত হোসেন,বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম আতিকুজ্জামান সনি,বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান,ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন,বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ হোসেন, বেনাপোল এনএসআই কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন,বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার মিজানুর রহমান,বেনাপোল আনছার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, বেনাপোল ফায়ার সার্ভিজ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী,ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তযবিবুর রহমান তবি,৮৯১ এর দপ্তর  সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা সহ কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, পুলিশ, বিজিবি, এনএসআইসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই কমিটি বন্দরে নিয়োজিত এপিবিএন, আনসার ও বেসরকারী নিরাপত্তাকর্মীর কার্যক্রম তদারফি/মনিটরিং, নিয়মিত উপস্থিতি/বায়োমেট্রিক হাজিয়া পর্যালোচনা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং বন্দরের বিভিন্ন গেট/শেড/ইয়ার্ড/টার্মিনাল/স্থানে নিরাপত্তা সদস্য কর্তৃক বকশিশ/চাদা/মাসোয়ারা উত্তোলন বন্ধে সুপারিশ প্রদান করতে হবে।
(য) কমিটি বন্দরে অগ্নি দুর্ঘটনা/জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রাখবে; (৪) কমিটি প্রতি মাস্যের প্রথম সপ্তাহে সভা করে কদরের সার্বিক নিরাপত্তার অগ্রগতির বিষয়ে পরিচালক (ট্রাফিক),বেনাপোল মুসকন্দর বরাবত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

বামনা থানায় নতুন ওসি আবদুল্লাহ আল মামুনের যোগদান

বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তদারকি ও মনিটরিং সমন্বয় কমিটি’র আলোচনা সভা

প্রকাশিত : ০৯:১৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
বেনাপোল-শার্শা প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম তদারকি/মনিটরিং এর নিমিত্তে গঠিত কমিটি ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে
আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১১ টার সময় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন এর সম্মেলন কক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দরের
উপসচিব পরিচালক (ট্রাফিক),মোঃ শামীম হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান টি শুরু হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপসচিব পরিচালক (ট্রাফিক),মোঃ শামীম হোসেন বলেন,আমি সব সময় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্থলবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম তদারকি ও মনিটরিং করি,তবে এই বন্দর এলাকার সকল প্রশাসন যদি একসাথে কাজ করি তাহলে এ বন্দর নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, এই বন্দরের চোরাকারবারি ও চেকপোস্ট এলাকার চুরি ছিনতাই কারীদের ধরে,সাথে সাথে সাজা দেয়ার জন্য পেসেঞ্জার টার্মিনালে ম্যাজিস্ট্রেট এর অফিস করা হয়েছে। যাতে করে তাদেরকে দ্রুত বিচার করে,জেল হাজতে পাঠানো যায় সে ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, বন্দরের সিকিউরিটি গার্ড ঠিক করেন,তাহলে সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে, তা না হলে দিন দিন চুরি বাড়তেই থাকবে।
তারা আরও বলেন, এই বন্দরে সাধারণ লেবার শ্রমিকদের কোন টয়লেট নাই নামাজ পড়ার জায়গা নাই। তারা কিভাবে কাজ করবে।
সুত্রে জানাগেছে,বেনাপোল স্থলবন্দর দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর এবং প্রথম শ্রেণীর কেপিআইভুক্ত স্থাপনা। বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা প্রবিধানমালা, ২০০৭ এর বিবি (১৬) অনুচ্ছেদে স্থলবন্দরকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রবিধানমালার বিবি ৪ থেকে ১৩ পর্যন্ত সংরক্ষিত এলাকায় বাক্তি ও যান চলাচল প্রবেশ/নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধতা আরোপসহ রক্ষিত পণ্য ও তথ্যের নিরাপত্তা সংরক্ষণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ রয়েছে। কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা, ২০১৩ এ বেনাপোল স্থলবন্দর বন্দরকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিবেচনায় প্রথম শ্রেণীভুক্ত (১’খ) কেপিআই করা হয়েছে।
সে প্রেক্ষিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম তদারকি/মনিটরিং করার লক্ষো নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
 আহবায়ক যারা হলেন,
১) আহবায়ক উপ-পরিচালক (প্রশাসন), বেনাপোল স্থলবন্দর, যশোর (নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত)।
(2) সদস্য উপ-পরিচালক (ট্রাফিক)-১, বেনাপোল স্থলবন্দর, যশোর।
(৩) সদস্য-সচিব, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)-১, বেনাপোল স্থলবন্দর, যশোর।
(8) সদস্য, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক)-১, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
(৫) সদস্য,সহকারী প্রোগ্রামার, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
(৬) সদস্য,ইনচার্জ, এপিবিএন ক্যাম্প, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
( ৭) সদস্য,কায়ার পরিদর্শক, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
(৮) সদস্য,প্লাটুন কমান্ডার, আনসার ক্যাম্প, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
(৯) সদস্য,প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, বেসরকারী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান, বেনাপোল স্থলবন্দর,যশোর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপপরিচালক (প্রশাসন) রাশেদুল সজিব নাজির, উপ-পরিচালক(ট্রাফিক)মোঃ রুহল আমিন,
সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) কাজী রতন,
বেনাপোল কাস্টমস এর সহকারী কমিশনার মোঃ রাহাত হোসেন,বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম আতিকুজ্জামান সনি,বেনাপোল সি এন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান,ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন,বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ হোসেন, বেনাপোল এনএসআই কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন,বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার মিজানুর রহমান,বেনাপোল আনছার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, বেনাপোল ফায়ার সার্ভিজ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী,ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তযবিবুর রহমান তবি,৮৯১ এর দপ্তর  সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা সহ কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, পুলিশ, বিজিবি, এনএসআইসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই কমিটি বন্দরে নিয়োজিত এপিবিএন, আনসার ও বেসরকারী নিরাপত্তাকর্মীর কার্যক্রম তদারফি/মনিটরিং, নিয়মিত উপস্থিতি/বায়োমেট্রিক হাজিয়া পর্যালোচনা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং বন্দরের বিভিন্ন গেট/শেড/ইয়ার্ড/টার্মিনাল/স্থানে নিরাপত্তা সদস্য কর্তৃক বকশিশ/চাদা/মাসোয়ারা উত্তোলন বন্ধে সুপারিশ প্রদান করতে হবে।
(য) কমিটি বন্দরে অগ্নি দুর্ঘটনা/জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রাখবে; (৪) কমিটি প্রতি মাস্যের প্রথম সপ্তাহে সভা করে কদরের সার্বিক নিরাপত্তার অগ্রগতির বিষয়ে পরিচালক (ট্রাফিক),বেনাপোল মুসকন্দর বরাবত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।