ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

বেঁচে ফেরাটাই ভুল হয়েছে— বললেন কিংবদন্তি নচিকেতা চক্রবর্তী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জীবনমুখী গানের কিংবদন্তি নচিকেতা চক্রবর্তী। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় হার্টে দুটি স্টেন্ট বসানোর পর এখন অনেকটাই সুস্থ ওপার বাংলার এই গায়ক। ভক্তরা যখন তার ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় নচিকেতার একটি ভিডিও ও দীর্ঘ লেখা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নচিকেতা যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, সেখানে তার নিজের জীবনে আসা মৃত্যু প্রায় পরিস্থিতিগুলোকে বর্ণনা করেছেন।   ভিডিওটির শিরোনামে লিখেছেন ‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি’। হাসপাতালে থাকাকালীন গত ১০ ডিসেম্বর এই লেখাটি লিখেছেন তিনি, যা সম্পূর্ণ নিজের জীবনের উপলব্ধি থেকেই লিখেছেন নচিকেতা।

নচিকেতা উল্লেখ করেন, মৃত্যুর মুখ থেকে বারবার ফিরতে মন্দ লাগছে না। কিন্তু এই প্রথমবার নয়, মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় লেগে কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। ২০ বছর বয়সে শুধুমাত্র ভাগ্যের কারণে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন নচিকেতা। শেষ মুহূর্তে স্থান পরিবর্তনের কারণে পুলিশের গুলি এসে লাগে বন্ধুর বুকে।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাতাল রেলের নির্মিত হওয়া টানেলে জলে ডুবতে ডুবতে বেঁচে গিয়েছিলেন নচিকেতা। এর আগে মাত্র ৭ বছর বয়সে ক্ষুদিরামের ছবি দেখে গলায় দড়ি দিতে গিয়েছিলেন তিনি, মাত্র ৬ বছর বয়সে নকশাল আন্দোলন দেখে স্কুলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন, সেবারেও বেঁচে গিয়েছিলেন গায়ক।

এরপর ৪৭ বছর বয়সে দিল্লির হাসপাতালে সার্জারির টেবিল থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন এবং ২০২৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও বেঁচে যান তিনি। এছাড়াও অনেক দুর্ঘটনায় পড়েও তিনি বারবার মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এটা তো ভালো কথা, তাহলে কেন এত হতাশাগ্রস্থ হয়ে রয়েছেন নচিকেতা?

নচিকেতা লেখেন, ‘আমার লেখা যদি ভালো লাগে ভালো না হলে কমেন্ট করবেন না। আপনাদের কমেন্টের আশায় আমি বসে নেই। নিজেকে আমার বাড়ির পুরনো তক্তপোশের মতো জরাজীর্ণ প্রমাণ করতে গিয়ে কমেন্ট করবেন না। আবারও বেঁচে এলাম, হয়তো ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করবেন। এবার আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই কথা দিচ্ছি মরে যাওয়ার চেষ্টা করব। অন্তত আপনাদের মান রাখতে।’

শেষের কথা শুনে বোঝাই যায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নচিকেতার মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে হইচই পড়ে গিয়েছিল তাতেই হয়তো ক্ষুব্ধ তিনি। মূলত, নচিকেতার মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় বেশ আশাহত হয়েছেন ৬১ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী, আর তাই নিজের ওই অভিমান থেকেই এতগুলো কথা লেখেন তিনি।

বেঁচে ফেরাটাই ভুল হয়েছে— বললেন কিংবদন্তি নচিকেতা চক্রবর্তী

প্রকাশিত : ১০:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জীবনমুখী গানের কিংবদন্তি নচিকেতা চক্রবর্তী। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় হার্টে দুটি স্টেন্ট বসানোর পর এখন অনেকটাই সুস্থ ওপার বাংলার এই গায়ক। ভক্তরা যখন তার ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় নচিকেতার একটি ভিডিও ও দীর্ঘ লেখা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নচিকেতা যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, সেখানে তার নিজের জীবনে আসা মৃত্যু প্রায় পরিস্থিতিগুলোকে বর্ণনা করেছেন।   ভিডিওটির শিরোনামে লিখেছেন ‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি’। হাসপাতালে থাকাকালীন গত ১০ ডিসেম্বর এই লেখাটি লিখেছেন তিনি, যা সম্পূর্ণ নিজের জীবনের উপলব্ধি থেকেই লিখেছেন নচিকেতা।

নচিকেতা উল্লেখ করেন, মৃত্যুর মুখ থেকে বারবার ফিরতে মন্দ লাগছে না। কিন্তু এই প্রথমবার নয়, মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় লেগে কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। ২০ বছর বয়সে শুধুমাত্র ভাগ্যের কারণে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন নচিকেতা। শেষ মুহূর্তে স্থান পরিবর্তনের কারণে পুলিশের গুলি এসে লাগে বন্ধুর বুকে।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাতাল রেলের নির্মিত হওয়া টানেলে জলে ডুবতে ডুবতে বেঁচে গিয়েছিলেন নচিকেতা। এর আগে মাত্র ৭ বছর বয়সে ক্ষুদিরামের ছবি দেখে গলায় দড়ি দিতে গিয়েছিলেন তিনি, মাত্র ৬ বছর বয়সে নকশাল আন্দোলন দেখে স্কুলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন, সেবারেও বেঁচে গিয়েছিলেন গায়ক।

এরপর ৪৭ বছর বয়সে দিল্লির হাসপাতালে সার্জারির টেবিল থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন এবং ২০২৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও বেঁচে যান তিনি। এছাড়াও অনেক দুর্ঘটনায় পড়েও তিনি বারবার মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এটা তো ভালো কথা, তাহলে কেন এত হতাশাগ্রস্থ হয়ে রয়েছেন নচিকেতা?

নচিকেতা লেখেন, ‘আমার লেখা যদি ভালো লাগে ভালো না হলে কমেন্ট করবেন না। আপনাদের কমেন্টের আশায় আমি বসে নেই। নিজেকে আমার বাড়ির পুরনো তক্তপোশের মতো জরাজীর্ণ প্রমাণ করতে গিয়ে কমেন্ট করবেন না। আবারও বেঁচে এলাম, হয়তো ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করবেন। এবার আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই কথা দিচ্ছি মরে যাওয়ার চেষ্টা করব। অন্তত আপনাদের মান রাখতে।’

শেষের কথা শুনে বোঝাই যায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নচিকেতার মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে হইচই পড়ে গিয়েছিল তাতেই হয়তো ক্ষুব্ধ তিনি। মূলত, নচিকেতার মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় বেশ আশাহত হয়েছেন ৬১ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী, আর তাই নিজের ওই অভিমান থেকেই এতগুলো কথা লেখেন তিনি।