ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন 

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:১৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কিশোরগঞ্জ সদরের কাটাবাড়ীয়া বড়পুল এলাকা থেকে কিশোরগঞ্জ সদরের চৌদ্দশত এলাকা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় পাঁচ মনোনয়ন প্রত্যাশী, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ হিলালী, সাবেক বিভাগীয় স্পেশাল জজ ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল করিম খান চুন্নু, সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ রুহুল হোসাইন, কিশোরগঞ্জ সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ শরিফুল ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রায় বিশ হাজার নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

দীর্ঘ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সদরের বিশ্বরোড নতুন জেলখানা মোড়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে সাবেক এমপি মাসুদ হিলালী বলেন, জন আকাঙ্ক্ষার বাইরে যেয়ে বিএনপি সদর আসনে যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাঁর একাধিক যোগ্যতম প্রার্থী থাকার পরও শুধুমাত্র দলের জেলা সেক্রেটারি বিবেচনায় মনোনয়ন দেয়ায় এই আসনের মানুষ হতাশ করেছে।

সাবেক বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে এক কঠিন মূহুর্তে আমাকে দল মনোনয়ন দেয়ার পর রাতের ভোটে ভোট লুটপাট করার পরও দিনের ভোটে দেড়ঘন্টায় প্রায় ৮০ হাজার ভোট পাই, যা ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে ওই সময়ে সর্বোচ্চ ভোট ছিল।

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে যেয়ে পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি বছরের পর বছর জেল খেয়েছি, হুলিয়া মাথায় নিয়ে স্ত্রী সন্তান ছাড়া পালিয়ে বেড়িয়েছি, এখনও আমার বিরুদ্ধে সাড়ে দশ বছরের সাজা রয়ে গেছে, অথচ দল আমাকে মূল্যায়ন করেনি। আরও যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। অথচ আমাদের সবাইকে পাশ কাটিয়ে যে ব্যক্তিটি আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে ১৬ বছর পার করলো, যাকে দুইবার পৌর মেয়রের মনোনয়ন দেয়ার পর নিজের কেন্দ্রে ৭ ভোটে ফেল করে দুইবারই পরাজিত হলো, জনগণের প্রত্যাশার কথা বিবেচনা না করে দল যাকেই অর্থাৎ মাজহারুল ইসলামকেই মনোনয়ন দিলো ?

তিনি বলেন, আমরা এ মনোনয়ন মানি না। দ্রুত ওই মনোনয়ন বাতিল করে জনপ্রত্যাশিত জনপ্রিয় আমাদের মধ্যে থেকেই একজনকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন 

প্রকাশিত : ০৮:১৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কিশোরগঞ্জ সদরের কাটাবাড়ীয়া বড়পুল এলাকা থেকে কিশোরগঞ্জ সদরের চৌদ্দশত এলাকা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় পাঁচ মনোনয়ন প্রত্যাশী, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ হিলালী, সাবেক বিভাগীয় স্পেশাল জজ ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল করিম খান চুন্নু, সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ রুহুল হোসাইন, কিশোরগঞ্জ সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ শরিফুল ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রায় বিশ হাজার নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

দীর্ঘ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সদরের বিশ্বরোড নতুন জেলখানা মোড়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে সাবেক এমপি মাসুদ হিলালী বলেন, জন আকাঙ্ক্ষার বাইরে যেয়ে বিএনপি সদর আসনে যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাঁর একাধিক যোগ্যতম প্রার্থী থাকার পরও শুধুমাত্র দলের জেলা সেক্রেটারি বিবেচনায় মনোনয়ন দেয়ায় এই আসনের মানুষ হতাশ করেছে।

সাবেক বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে এক কঠিন মূহুর্তে আমাকে দল মনোনয়ন দেয়ার পর রাতের ভোটে ভোট লুটপাট করার পরও দিনের ভোটে দেড়ঘন্টায় প্রায় ৮০ হাজার ভোট পাই, যা ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে ওই সময়ে সর্বোচ্চ ভোট ছিল।

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে যেয়ে পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি বছরের পর বছর জেল খেয়েছি, হুলিয়া মাথায় নিয়ে স্ত্রী সন্তান ছাড়া পালিয়ে বেড়িয়েছি, এখনও আমার বিরুদ্ধে সাড়ে দশ বছরের সাজা রয়ে গেছে, অথচ দল আমাকে মূল্যায়ন করেনি। আরও যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। অথচ আমাদের সবাইকে পাশ কাটিয়ে যে ব্যক্তিটি আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে ১৬ বছর পার করলো, যাকে দুইবার পৌর মেয়রের মনোনয়ন দেয়ার পর নিজের কেন্দ্রে ৭ ভোটে ফেল করে দুইবারই পরাজিত হলো, জনগণের প্রত্যাশার কথা বিবেচনা না করে দল যাকেই অর্থাৎ মাজহারুল ইসলামকেই মনোনয়ন দিলো ?

তিনি বলেন, আমরা এ মনোনয়ন মানি না। দ্রুত ওই মনোনয়ন বাতিল করে জনপ্রত্যাশিত জনপ্রিয় আমাদের মধ্যে থেকেই একজনকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি।