ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৬ ডিগ্রি, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৮:০০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : তীব্র শীতের কবলে পড়েছে সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা, কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল বাতাসে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জেলার ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। একই দিন ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতাও ছিল সমান।
শীতের তীব্রতায় শহর ও গ্রামাঞ্চলে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। তবে জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে কাজে বের হতে হচ্ছে দিনমজুর, ভ্যানচালক, হকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় শীতজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর চাপ। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের রিমা খাতুন বলেন,  সকালে গৃহস্থালি কাজে পানিতে হাত দেওয়া যায় না।  পানি তো না মনে হয় বরফ। তারপরও প্রয়োজনের  ঠান্ডাতে উপেক্ষা করে কাজ করতে হয়।
চুয়াডাঙ্গা টিএন্ডটি এলাকার চা-দোকানি ফারুক হোসেন জানান, হিমেল বাতাস ও  শীতের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। সকাল ৯/১০ টার  আগে লোক জন বাইরে বের হচ্ছে না। তাই বেচা বিক্রি কম।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার  সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।

ডিএনসিসি ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করলো ৩০০ ফিট সমাবেশস্থল থেকে

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৬ ডিগ্রি, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব

প্রকাশিত : ০৮:০০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : তীব্র শীতের কবলে পড়েছে সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা, কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল বাতাসে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। চলতি শীত মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জেলার ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। একই দিন ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতাও ছিল সমান।
শীতের তীব্রতায় শহর ও গ্রামাঞ্চলে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। তবে জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে কাজে বের হতে হচ্ছে দিনমজুর, ভ্যানচালক, হকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় শীতজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর চাপ। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের রিমা খাতুন বলেন,  সকালে গৃহস্থালি কাজে পানিতে হাত দেওয়া যায় না।  পানি তো না মনে হয় বরফ। তারপরও প্রয়োজনের  ঠান্ডাতে উপেক্ষা করে কাজ করতে হয়।
চুয়াডাঙ্গা টিএন্ডটি এলাকার চা-দোকানি ফারুক হোসেন জানান, হিমেল বাতাস ও  শীতের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। সকাল ৯/১০ টার  আগে লোক জন বাইরে বের হচ্ছে না। তাই বেচা বিক্রি কম।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার  সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।