জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার এবং মোস্তাফিজুর রহমান রুমিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ এ নোটিশ জারি করা হয়।
জানা যায়, আজ ছাত্রদলের পার্টি অফিসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটির মিটিং ছিল। সেখানে একজন অসুস্থতা এবং অন্যজন ঢাকার বাইরে থাকার কারণে উপস্থিত থাকতে না পারায় তাদের দুজনকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শোকজ নোটিশ দেওয়ার আগে তাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন দুই ছাত্রনেতা।
এ ছাড়া তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শোকজ করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার বলেন, সেন্ট্রালে মিটিং ছিল। আমি অসুস্থতার কারণে যেতে পারিনি। এজন্যই হয়ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। দীর্ঘদিন রাজনীতি করে এসেছি, মার খেয়েছি। এখন যারা পদ পেয়েছেন, অনেককেই চিনি না। যোগ্যদের বঞ্চিত করে কমিটি দেওয়ায় মন খারাপ এবং অসুস্থ থাকায় মিটিংয়ে থাকতে পারিনি।
কারণ দর্শনের নোটিশের বিষয় যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি বলেন, আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম। এ জন্য উপস্থিত থাকতে পারিনি। কারো যদি ঢাকার বাইরে থাকার জন্য যদি শোকজ নোটিশ দেয়, তাহলে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের কাছে বাজে মেসেজ যায়। দীর্ঘদিন ও দুঃসময়ে রাজপথে থেকে এখন যদি শোকজ খেতে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য মেনে নেওয়া কষ্টকর ও দুঃখজনক।
শোকজের কারণ জানতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।