ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড়ের জনজীবন ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:০৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার দেখা হয়েছে

পঞ্চগড়ে টানা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবন দিন দিন আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করলেও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও দীর্ঘ সময় ধরে কুয়াশা থাকার কারণে শীতের অনুভূতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, যানবাহন চালক, শিশু ও বয়স্করা।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সড়ক, মাঠ ও ঘাট ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকায় দৃষ্টিসীমা মারাত্মকভাবে কমে যায়। ফলে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিনও বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। তবে বিকেলের দিকে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিলেছিল। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যার পর থেকেই আবার শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে এবং বৃষ্টির মতো শিশির ঝরতে থাকে।

টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সকালে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।

চাকলাহাট এলাকার দিনমজুর সালাম বলেন, সকালে কাজে বের হতে পারছি না। কুয়াশায় হাত-পা জমে যায়, আগুন না পোহালে শরীর চলে না।

কৃষিশ্রমিক রবিউল বলেন, সকালে মাঠে নামতে দেরি হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করা খুব কষ্টকর হয়ে গেছে।

অটোচালক নজরুল ইসলাম বলেন, কুয়াশার কারণে সামনে কিছুই দেখা যায় না। হেডলাইট জ্বালিয়েও ভয় নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ১১ ডিসেম্বর। সেদিন তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও তাপমাত্রা আবার কমছে। আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫শতাধিক ছাত্র-জনতার ৭ কিলোমিটার দৌড় অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড়ের জনজীবন ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত

প্রকাশিত : ০৫:০৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড়ে টানা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবন দিন দিন আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করলেও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও দীর্ঘ সময় ধরে কুয়াশা থাকার কারণে শীতের অনুভূতি তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, যানবাহন চালক, শিশু ও বয়স্করা।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সড়ক, মাঠ ও ঘাট ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকায় দৃষ্টিসীমা মারাত্মকভাবে কমে যায়। ফলে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিনও বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। তবে বিকেলের দিকে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিলেছিল। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যার পর থেকেই আবার শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে এবং বৃষ্টির মতো শিশির ঝরতে থাকে।

টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সকালে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।

চাকলাহাট এলাকার দিনমজুর সালাম বলেন, সকালে কাজে বের হতে পারছি না। কুয়াশায় হাত-পা জমে যায়, আগুন না পোহালে শরীর চলে না।

কৃষিশ্রমিক রবিউল বলেন, সকালে মাঠে নামতে দেরি হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করা খুব কষ্টকর হয়ে গেছে।

অটোচালক নজরুল ইসলাম বলেন, কুয়াশার কারণে সামনে কিছুই দেখা যায় না। হেডলাইট জ্বালিয়েও ভয় নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ১১ ডিসেম্বর। সেদিন তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও তাপমাত্রা আবার কমছে। আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।