ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর টানা বর্ষণে পানির নিচে অধিকাংশ আবাদি জমি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১১:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৩২ বার দেখা হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে টানা বর্ষণে শিমখেতে জমে আছে পানি।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে টানা বর্ষণে পানির নিচে চলে গেছে অধিকাংশ আবাদি জমি। আক্রান্ত হয়েছে ২৫০ হেক্টর খেতের ফসল। প্রণোদনার জন্য ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরে ১২ হাজার ৮০৮ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ৪৬ হেক্টর জমির ফসল; যাতে আছে ৩ হেক্টর আমনের বীজতলা, আমন ধান ৪ হেক্টর, মরিচ ২০ হেক্টর, সবজি ৬ হেক্টর এবং আউশ ধান ১৩ হেক্টর। ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি অফিস চাষিদের স্বল্প জীবনকালের ধানের জাতের বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিয়েছে; যাতে জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারা রোপণ করা যায়।

আলুকদিয়া গ্রামের চাষি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘রাস্তার দুই পাশের জমিগুলোয় ধান চাষ হয়। সে অনুযায়ী এ বছরও চাষ করা হয়েছিল। তবে দুই মাসের টানা বর্ষণে জমি তলিয়ে চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পানি নেমে গেলেও এ বছর আর আবাদ করা সম্ভব না। কারণ, চাষ করতে যে চারা লাগবে, তা কোথায় পাব? আমাদের মাঠের ২০০-৩০০ বিঘা জমিতে এবার ফসল করা যাবে না।’
জয়দিয়া গ্রামের খায়রুল ইসলাম জানান, অতি বৃষ্টিতে উঁচু জমিতে ক্ষতি হয়েছে পেঁপে, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির। আর নিচের জমিগুলোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, যা এ বছর আর হবে না।

এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্প জীবনকালের বিনা-৭ ধানের বীজতলা তৈরিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে; যাতে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিগুলোয় আবার চাষ করা যায়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো প্রণোদনা আসে, তা ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।

রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান বনানীতে

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর টানা বর্ষণে পানির নিচে অধিকাংশ আবাদি জমি

প্রকাশিত : ১১:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে টানা বর্ষণে শিমখেতে জমে আছে পানি।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে টানা বর্ষণে পানির নিচে চলে গেছে অধিকাংশ আবাদি জমি। আক্রান্ত হয়েছে ২৫০ হেক্টর খেতের ফসল। প্রণোদনার জন্য ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোটচাঁদপুরে ১২ হাজার ৮০৮ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ৪৬ হেক্টর জমির ফসল; যাতে আছে ৩ হেক্টর আমনের বীজতলা, আমন ধান ৪ হেক্টর, মরিচ ২০ হেক্টর, সবজি ৬ হেক্টর এবং আউশ ধান ১৩ হেক্টর। ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি অফিস চাষিদের স্বল্প জীবনকালের ধানের জাতের বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিয়েছে; যাতে জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারা রোপণ করা যায়।

আলুকদিয়া গ্রামের চাষি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘রাস্তার দুই পাশের জমিগুলোয় ধান চাষ হয়। সে অনুযায়ী এ বছরও চাষ করা হয়েছিল। তবে দুই মাসের টানা বর্ষণে জমি তলিয়ে চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পানি নেমে গেলেও এ বছর আর আবাদ করা সম্ভব না। কারণ, চাষ করতে যে চারা লাগবে, তা কোথায় পাব? আমাদের মাঠের ২০০-৩০০ বিঘা জমিতে এবার ফসল করা যাবে না।’
জয়দিয়া গ্রামের খায়রুল ইসলাম জানান, অতি বৃষ্টিতে উঁচু জমিতে ক্ষতি হয়েছে পেঁপে, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির। আর নিচের জমিগুলোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, যা এ বছর আর হবে না।

এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্প জীবনকালের বিনা-৭ ধানের বীজতলা তৈরিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে; যাতে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিগুলোয় আবার চাষ করা যায়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো প্রণোদনা আসে, তা ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।