ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ব্যবসায়ীদের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৯:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৯৪ বার দেখা হয়েছে

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা। বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার না হলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাপা।

বিকল্প খাবার হিসেবে প্রক্রিয়াজাত পণ্যের চাহিদা ও নির্ভরতা বাড়ছে। তবে গত ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট  এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ। যেখানে মেশিনে প্রস্তুতকৃত বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনি, টমেটো সস ইত্যাদি পণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। এসময় উদ্বেগ প্রকাশ করে এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন করে খাদ্যপণ্যের উপর ভ্যাট ও করের বোঝা চাপানো হলে ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্টরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বন্ধ হবে অধিকাংশ কারখানা।

এসময় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ১৬০টিরও বেশি পণ্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। অনুগ্রহপূর্বক এই মার্কেটটাকে ধ্বংস করে দেবেন না।

বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দেন খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা। আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি সরকার আরোপিত ভ্যাট ও শুল্কের সঙ্গে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে সরকার সরে না আসে, তবে স্বেচ্ছায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং সচিবালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেব।

পাশাপাশি শিল্পখাতে প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন করে জ্বালানির দাম বাড়লে পুরো খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। 

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত : ০৯:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা। বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার না হলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাপা।

বিকল্প খাবার হিসেবে প্রক্রিয়াজাত পণ্যের চাহিদা ও নির্ভরতা বাড়ছে। তবে গত ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট  এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ। যেখানে মেশিনে প্রস্তুতকৃত বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনি, টমেটো সস ইত্যাদি পণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। এসময় উদ্বেগ প্রকাশ করে এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন করে খাদ্যপণ্যের উপর ভ্যাট ও করের বোঝা চাপানো হলে ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্টরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বন্ধ হবে অধিকাংশ কারখানা।

এসময় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ১৬০টিরও বেশি পণ্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। অনুগ্রহপূর্বক এই মার্কেটটাকে ধ্বংস করে দেবেন না।

বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দেন খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা। আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি সরকার আরোপিত ভ্যাট ও শুল্কের সঙ্গে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে সরকার সরে না আসে, তবে স্বেচ্ছায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ এবং সচিবালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেব।

পাশাপাশি শিল্পখাতে প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন করে জ্বালানির দাম বাড়লে পুরো খাত মুখ থুবড়ে পড়বে।