ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

খালেদা জিয়াকে দেশে আনতে লন্ডনে মেডিকেল বোর্ড প্রধান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ১০:৪৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • ৩৭ বার দেখা হয়েছে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশে আনতে লন্ডনে গেছেন তার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার। বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে তিনি লন্ডনে পৌঁছান। তার সঙ্গে গেছে বোর্ডের আরেক সদস্য আইসিইউ কনসালটেন্ট ডা. জাফর। তারা সোমবার খালেদার জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় ফিরবেন।

ডা. শাহাবুদ্দিন সময়ের আলোকে বলেন, আমি লন্ডন এসেছি। ইতিমধ্যে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ। সোমবার সিলেট হয়ে ১০টা ৫৫মিনিটে আমাদের ঢাকায় ফেরার কথা। উনার সঙ্গে আমি, ডা. জাহিদ ও ডা. জাফর আছি।

তিনি বলেন, ম্যাডাম দ্য লন্ডন ক্লিনেকে সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন। সেখানে বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে থাকেন। দোয়া রাখবেন যাতে ম্যাডামকে নিয়ে সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি।

চার মাস পর দেশে ফিরছেন আগামী সোমবার। তিনি লন্ডনের বিমানবন্দর হিথ্রো-২ থেকে স্থানীয় সময় আগামীকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন সোমবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে৷ সেখানে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকায় পৌঁছাবেন৷ তার সঙ্গে দেশে আসবেন দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান।

লন্ডন থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের সফরসঙ্গী ও তার উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী। সময়ের আলোকে তিনি বলেন, আমি লন্ডন আছি। দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৫ মে সকালে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) দেশে ফিরবেন ইনশাআল্লাহ।

এক প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমান ফিরছেন না। তারেক রহমানের ফেরা নির্ভর করছে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ওপর। আমি, ম্যাডামের দুই পুত্রবধূ, ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, ম্যাডামের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, গৃহপরিচারিকা ফাতেমা খাতুন ও ব্যক্তিগত স্টাফ রূপা হক সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরছি। ম্যাডামের তিন নাতনি লন্ডনেই থাকবেন আপাতত৷

তিনি জানান, খালেদা জিয়া অনেকটা সুস্থ হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন পড়েনি৷ তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি এয়ারলাইনসের বিজনেস ক্লাসে চড়ে ঢাকায় ফিরবেন।

গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেসে যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। সেখানে তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। টানা ১৭দিন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেন। এই হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসাধীন চলছে।

জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। এজন্য সহযোগিতা চেয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডামের দেশে ফেরার ব্যাপারে কাতারের আমিরের কাছ থেকে যে অ্যাম্বুলেন্সটা উনাকে লন্ডনে নেয়ার জন্য পেয়েছিলাম সেটা এখন একটু বিলম্বিত হচ্ছে টেকনিক্যাল কারণে। সেজন্য ম্যাডাম ঠিক করেছেন যে, ওইটা (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) যদি শেষ মুহুর্তে না পাওয়া যায় উনি বাংলাদেশ বিমানেই আসবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য সময়ের আলোকে বলেন, লন্ডন ক্লিনিক থেকে ম্যাডামকে পূণাঙ্গ ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে তিনি দেশে আসতে পারবেন। তবে চিকিৎসার মধ্যেই তাকে থাকতে হবে।

খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা দেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও দীর্ঘ দিন পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা। তারেক রহমানের সঙ্গে তিনিও এক এগারো সরকারের সময় লন্ডন চলে যান।

এদিকে ১৭ বছর পর দেশে ফিরতে যাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর গত ৩০ এপ্রিল চার স্তরের নিরাপত্তা চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে ডা. জোবায়দা রহমানের জীবনে নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে।

খালেদা জিয়াকে দেশে আনতে লন্ডনে মেডিকেল বোর্ড প্রধান

প্রকাশিত : ১০:৪৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশে আনতে লন্ডনে গেছেন তার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার। বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে তিনি লন্ডনে পৌঁছান। তার সঙ্গে গেছে বোর্ডের আরেক সদস্য আইসিইউ কনসালটেন্ট ডা. জাফর। তারা সোমবার খালেদার জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় ফিরবেন।

ডা. শাহাবুদ্দিন সময়ের আলোকে বলেন, আমি লন্ডন এসেছি। ইতিমধ্যে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ। সোমবার সিলেট হয়ে ১০টা ৫৫মিনিটে আমাদের ঢাকায় ফেরার কথা। উনার সঙ্গে আমি, ডা. জাহিদ ও ডা. জাফর আছি।

তিনি বলেন, ম্যাডাম দ্য লন্ডন ক্লিনেকে সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন। সেখানে বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে থাকেন। দোয়া রাখবেন যাতে ম্যাডামকে নিয়ে সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারি।

চার মাস পর দেশে ফিরছেন আগামী সোমবার। তিনি লন্ডনের বিমানবন্দর হিথ্রো-২ থেকে স্থানীয় সময় আগামীকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা ২০মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন সোমবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে৷ সেখানে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকায় পৌঁছাবেন৷ তার সঙ্গে দেশে আসবেন দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান।

লন্ডন থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের সফরসঙ্গী ও তার উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী। সময়ের আলোকে তিনি বলেন, আমি লন্ডন আছি। দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৫ মে সকালে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) দেশে ফিরবেন ইনশাআল্লাহ।

এক প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমান ফিরছেন না। তারেক রহমানের ফেরা নির্ভর করছে রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ওপর। আমি, ম্যাডামের দুই পুত্রবধূ, ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, ম্যাডামের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, গৃহপরিচারিকা ফাতেমা খাতুন ও ব্যক্তিগত স্টাফ রূপা হক সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরছি। ম্যাডামের তিন নাতনি লন্ডনেই থাকবেন আপাতত৷

তিনি জানান, খালেদা জিয়া অনেকটা সুস্থ হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন পড়েনি৷ তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি এয়ারলাইনসের বিজনেস ক্লাসে চড়ে ঢাকায় ফিরবেন।

গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেসে যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। সেখানে তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। টানা ১৭দিন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেন। এই হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসাধীন চলছে।

জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। এজন্য সহযোগিতা চেয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ম্যাডামের দেশে ফেরার ব্যাপারে কাতারের আমিরের কাছ থেকে যে অ্যাম্বুলেন্সটা উনাকে লন্ডনে নেয়ার জন্য পেয়েছিলাম সেটা এখন একটু বিলম্বিত হচ্ছে টেকনিক্যাল কারণে। সেজন্য ম্যাডাম ঠিক করেছেন যে, ওইটা (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) যদি শেষ মুহুর্তে না পাওয়া যায় উনি বাংলাদেশ বিমানেই আসবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য সময়ের আলোকে বলেন, লন্ডন ক্লিনিক থেকে ম্যাডামকে পূণাঙ্গ ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে তিনি দেশে আসতে পারবেন। তবে চিকিৎসার মধ্যেই তাকে থাকতে হবে।

খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা দেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও দীর্ঘ দিন পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা। তারেক রহমানের সঙ্গে তিনিও এক এগারো সরকারের সময় লন্ডন চলে যান।

এদিকে ১৭ বছর পর দেশে ফিরতে যাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর গত ৩০ এপ্রিল চার স্তরের নিরাপত্তা চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে ডা. জোবায়দা রহমানের জীবনে নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে।