ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

সাবেক আইজিপি শহীদুলসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত : ০৫:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ১৯৩ বার দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঢাকার কল্যাণপুরের জাহাজবাড়ি হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

সোমবার, বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এবং মিরপুর জোনের সাবেক ডিসি জসিমউদ্দিন মোল্লা।

ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম জানান, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, এই তিন পুলিশ কর্মকর্তার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ২০১৬ সালের কল্যাণপুরে ৯ তরুণ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তদন্তের স্বার্থে তাদের আটক রাখা প্রয়োজন বলে আদালতকে অনুরোধ করা হয়।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডটি ছিল একটি পরিকল্পিত ‘জঙ্গি নাটক’, যা বিশেষভাবে ইসলামিক ভাবধারা সম্পন্ন মানুষদের ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল।”

তিনি অভিযোগ করেন, “তৎকালীন সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণে মানুষের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতো এবং এরপর তাদের ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে, স্বজনদেরও লাশ গ্রহণে বাধা দেওয়া হতো, যেন একটি ঘৃণার সংস্কৃতি তৈরি করা যায়।”

কল্যাণপুরের ওই ঘটনা ঘটে গুলশান হামলার ২৫ দিন পর, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে ৯ ‘জঙ্গি’ নিহত হওয়ার খবর দেয়। তারা দাবি করে, নিহতরা ছিল নব্য জেএমবির সদস্য। তবে, পরবর্তীতে এই ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ভাষ্য উঠে আসে এবং ৬ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়।

এছাড়া, রামপুরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তও প্রায় শেষ পর্যায়ে, এবং ট্রাইব্যুনাল আগামী ২৮ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারণ করেছে।

ট্রাইব্যুনালের মানববলয়ের বিষয়ে প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম জানান, “এ পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে এবং ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে, কম জনবল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, যার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং জনবল বৃদ্ধি করা হবে।”

মূলধনী যন্ত্রপাতি বিডার অনুমোতি ছাড়া বিদেশি ঋণে আনা যাবে

সাবেক আইজিপি শহীদুলসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ০৫:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঢাকার কল্যাণপুরের জাহাজবাড়ি হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

সোমবার, বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এবং মিরপুর জোনের সাবেক ডিসি জসিমউদ্দিন মোল্লা।

ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম জানান, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, এই তিন পুলিশ কর্মকর্তার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ২০১৬ সালের কল্যাণপুরে ৯ তরুণ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তদন্তের স্বার্থে তাদের আটক রাখা প্রয়োজন বলে আদালতকে অনুরোধ করা হয়।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডটি ছিল একটি পরিকল্পিত ‘জঙ্গি নাটক’, যা বিশেষভাবে ইসলামিক ভাবধারা সম্পন্ন মানুষদের ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল।”

তিনি অভিযোগ করেন, “তৎকালীন সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণে মানুষের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতো এবং এরপর তাদের ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে, স্বজনদেরও লাশ গ্রহণে বাধা দেওয়া হতো, যেন একটি ঘৃণার সংস্কৃতি তৈরি করা যায়।”

কল্যাণপুরের ওই ঘটনা ঘটে গুলশান হামলার ২৫ দিন পর, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে ৯ ‘জঙ্গি’ নিহত হওয়ার খবর দেয়। তারা দাবি করে, নিহতরা ছিল নব্য জেএমবির সদস্য। তবে, পরবর্তীতে এই ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ভাষ্য উঠে আসে এবং ৬ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়।

এছাড়া, রামপুরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তও প্রায় শেষ পর্যায়ে, এবং ট্রাইব্যুনাল আগামী ২৮ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারণ করেছে।

ট্রাইব্যুনালের মানববলয়ের বিষয়ে প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম জানান, “এ পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে এবং ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে, কম জনবল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, যার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং জনবল বৃদ্ধি করা হবে।”